বিরোধী দলনেতা এ দিন বিধানসভার বাইরে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলেছেন, “সিজিও-তে যাচ্ছেন যান। কিন্তু নবান্ন অভিযানটা কবে হবে অপেক্ষা করছি! আর সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট অভিযান করুন! বিষয়টা তো সুপ্রিম কোর্টে এখন।” কারও নাম না-করেই চিকিৎসকদের কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেছেন, “কিছু লোকের ব্যামো ধরেছে, টিভি-তে থাকতেই হবে। গত দু’মাসে সংবাদমাধ্যম অনেক বিড়ালকে বাঘ বানিয়েছে! তাঁরা এখন থাকতে পারছেন না। বাড়ির লোকজন, বন্ধু-বান্ধবীরা তাঁদের জিজ্ঞাসা করছেন, তোমাকে আর দেখা যাচ্ছে না কেন!” প্রসঙ্গত, শুভেন্দুর পাশাপাশি এর আগে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে কটাক্ষ করে ‘চোকার্স’ তকমা দিয়ে ‘সেমিফাইনালে হেরে যায়’ বলে মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। সেই সঙ্গে জল্পনা থাকলেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সদ্য শেষ হওয়া বঙ্গ-সফরের সময়ে তাঁর সঙ্গে আর জি কর-কাণ্ডে নিহত ডাক্তারির পড়ুয়ার অভিভাবকদের দেখা না হওয়া নিয়েও সুর চড়িয়েছিল বিরোধীরা।
তৃণমূল এবং বিজেপি নেতাদের লাগাতার আক্রমণ সম্পর্কে পাল্টা সরব হয়েছে সিপিএমও। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘বিচারের জন্য তৃণমূল তো কিছু করবেই না, বিজেপিরও আগ্রহ নেই। হাথরস, উন্নাওয়ের মতো ঘটনায় যারা অভিযুক্ত, তারা বিচার দেবেই বা কী করে? এখন বিজেপি নেতারা বলছেন, ও সব আন্দোলনের কোনও মূল্য নেই! চিকিৎসকদের আন্দোলনকে ভেঙে দেওয়ার নানা চক্রান্ত হচ্ছে। চিকিৎসকেরা ৮০টা সংগঠনকে নিয়ে আন্দোলন জোরদার করছেন, সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানের ডাক দিয়েছেন। আমরা বিশ্বাস করি, ‘জাস্টিস ফর আর জি কর’ দাবিকে সামনে রেখে মানুষের প্রতিবাদ, লড়াই চলবে।’’