• গয়না পরবেন কালী, জল্পনা কেষ্ট-মন্তব্যে
    আনন্দবাজার | ৩০ অক্টোবর ২০২৪
  • দু’বছর পরে বোলপুরে, তৃণমূল কার্যালয়ের কালীপুজোয় থাকছেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তবে, তিনি জানিয়েছেন, অশৌচ চলায় তিনি নিজে কালীকে গয়না পরাবেন না।

    বীরভূমের ‘কেষ্টদা’র কালী-ভক্তি কারও অজানা নয়। গরু পাচার মামলায় জেলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত একই সঙ্গে চর্চায় থাকত তাঁর কালীপুজোয় গয়নার আড়ম্বরের কথা। তবে তিহাড় জেলে বন্দি থাকায় গত দু’বছর দলীয় কার্যালয়ের কালীপুজোয় থাকতে পারেননি তিনি। এ বার দুর্গাপুজোর আগে ফিরে নিজের গ্রামের পুজোয় গিয়েছেন। একই ভাবে পার্টি অফিসের পুজোতেও শামিল হবেন তিনি। সেখানে প্রতি বছরই প্রচুর স্বর্ণালঙ্কারে কালী প্রতিমাকে নিজের হাতে সাজাতেন অনুব্রত। সোনার মুকুট, বাজুবন্ধ, কানের দুল, হার, আঙটি, কোমরের বিছে, বাউটি—সব মিলিয়ে ২০২১ সালে প্রায় ৫৬০ ভরী সোনার গয়নায় কালী প্রতিমাকে সাজিয়েছিলেন তিনি।

    কিন্তু অনুব্রত সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরে গত দু’বছর ওই বিপুল গয়না দিয়ে সাজানো হয়নি প্রতিমা। দুবরাজপুরের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানের পরে অনুব্রত অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁর কাকার মৃত্যুর জন্য আশৌচ চলছে। ফলে, নিজে কিছু না করতে পারলেও পুজো আগের মতোই হবে। গয়না প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘গয়না আগের বারে যা পরেছেন কালী, এ বারও তাই পরবেন।’’

    প্রশ্ন উঠেছে, আগের বার বলতে কেষ্ট কোন বার বুঝিয়েছেন, অথবা গয়না পরলে কতটা পরানো হবে, মূলত এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে তৃণমূল কর্মীদের মনে। তার অবশ্য কারণও আছে। সূত্রের খবর, যখন গরু পাচার মামলার তদন্ত চলছিল, তখন প্রাথমিক পর্যায়েই কালীপ্রতিমার এই গয়না কেনার টাকার উৎস নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এই নিয়ে সিবিআই বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞাসাবাদও করে, ব্যাঙ্কে হানা দেয় ইডি। তাই পরের দু’বছর নামমাত্র গয়নায় সাজানো হয় কালীকে।

    ফলে, এ বারও গয়না পরানো হবে কি না, হলে কতটা, তা নিয়ে চর্চা চলছে। গয়না-প্রশ্নে মন্তব্য এড়িয়েছেন তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়। শুধু বলেছেন, “এ বার কালীপুজোয় থাকছেন জেলা সভাপতি। তাঁর অশৌচ‌ থাকায় তিনি হয়তো দেবীকে স্পর্শ করতে বা পুষ্পাঞ্জলি দিতে পারবেন না। তবে, তাঁর তত্ত্বাবধানেই সমস্ত পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে।”

    ‘কেষ্টদা’ ফিরে আসায় অবশ্য দলীয় কার্যালয়ে ভিড় বাড়ছে। দেখা গেল, মহিলা কর্মীরা আলপনা দিচ্ছেন। এ বছরও দলের নেতাকর্মীদের চাঁদা ও অনুদান দিয়ে পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রের দাবি। ফলে জাঁকজমক আগের তুলনায় কিছুটা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)