মঙ্গলবার ভরতপুর-১ এবং ২ ব্লকের ব্লক সভাপতির উদ্যোগে বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠান ছিল। উপস্থিত ছিলেন বহরমপুরের সাংসদ ইউসুফ, তৃণমূলের বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি এবং অন্যান্য নেতা। হুমায়ুন নিজের বিধানসভা এলাকায় দলের ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন না। পরে তাঁর দাবি, ‘‘অনুষ্ঠানে বিরিয়ানির লোভ দেখিয়ে জমায়েত করা হয়েছে।’’ একই সঙ্গে দলের শীর্ষনেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বিধায়ক। দলের ব্যানারে আয়োজিত বিজয়া সম্মেলনীতে আমন্ত্রণ না পেয়ে করে হুমায়ুন বলেন, ‘‘এটা তো বিজয়া সম্মিলনী নয়, এটা বিরিয়ানি খাওয়ানোর সম্মিলনী। কারণ, কোনও সাধারন মানুষ এঁদের ডাকে ভালবেসে এই সম্মিলনীতে আসবেন না, সেটা আয়োজকেরা জানেন। তাই বিরিয়ানি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে সম্মিলনীতে লোক আনা হয়েছিল। আমার অবশ্য বিরিয়ানিতে লোভ নাই"। বিধায়কের আরও দাবি, ‘‘বিরিয়ানি তৈরির জন্য যে পোলট্রি ফার্ম থেকে মুরগি নেওয়া হয়েছে, তাদের কাছ থেকেও ২০শতাংশ ছাড়ে বলপূর্বক মুরগি কেনা হয়েছে।’’
নানা সময়ে হুমায়ুনের নানা মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ শো-কজ়ও করা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু হুমায়ুন আছেন হুমায়ুনেই। অনুষ্ঠানে তাঁর অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে ভরতপুর-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তথা মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান সুমন বলেন, ‘‘বিজয়া সম্মিলনীতে না ডাকার প্রথা হুমায়ুন কবীর নিজেই চালু করেছেন। গত ২০ অক্টোবর সালার স্টেশনের কাছে নিজের অনুগামীদের নিয়ে একটি বিজয়া সম্মিলনী করেছেন উনি। সেখানে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতি ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের শীর্ষ নেতৃত্ব, কাউকেই ডাকা হয়নি। তাই আমাদের অনুষ্ঠানেও ওঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’’ জেলা তৃণমূলের অন্দরের খবর, ভরতপুরে বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে জেলা নেতৃত্ব এবং সাংসদ ইউসুফ পাঠানকে যোগ-না দেওয়ার জন্য এক সময় নাকি চাপ সৃষ্টি করেছিলেন হুমায়ুন। কবীর। যদিও রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদন সাপেক্ষে দলের ব্লক সভাপতিদের আয়োজিত বিজয়া সম্মেলনীতে যোগদান করেন শীর্ষ নেতৃত্ব এবং সাংসদ। এ নিয়ে হুমায়ুন বলেন, ‘‘অনুরোধ করেছিলাম, আমাকে যাতে অসম্মান-না করা হয় এবং ব্লক সভাপতির ডাকে সাংসদ যাতে ওই অনুষ্ঠানে যোগ-না দেন। আমাকে উপেক্ষা করা হল।’’ হুঁশিয়ারি দিয়ে হুমায়ুনের সংযোজন, ‘‘মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে আমাকে আবার সর্বোচ্চ নেতৃত্বের দরকার পড়বেই। সেই দিন বুঝিয়ে দেব, কত ধানে কত চাল।’’