দমদম স্টেশন রোড থেকে বাগজোলা খাল পর্যন্ত অংশে রাস্তার একাংশে ও সার্ভিস রোডে তিনটি বড় কালীপুজো হয়। তার মধ্যে একটি পুজোর এ বছর স্থান পরিবর্তন হলেও বাকি দু’টি অবশ্য হচ্ছে সেই একই জায়গায়। সেই পুজোগুলির আয়োজকদের একাংশের যুক্তি, বিকল্প জায়গার অভাব রয়েছে। পাশাপাশি, দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে একই জায়গায় পুজো চলছে। তাই ‘স্থান-মাহাত্ম্যের’ কারণে অনেকেই এই পরিবর্তনের পক্ষে নন। তবু চেষ্টা চলছে।
দমদম রোডে বাগজোলা খাল পর্যন্ত ওই অংশে তিনটি কালীপুজোর জেরে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খায় পুলিশ। পুজো কমিটিগুলির স্বেচ্ছাসেবকেরাও ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে হাত লাগান। যদিও তাতে সমস্যা কমে না। সেই জটিলতা কিছুটা কমাতেই এ বার একটি পুজোকে ওয়ার্ডের ভিতরে সরানো হয়েছে। সেখানে আরও দু’টি ক্লাব এই পুজোর সঙ্গে একত্রিত হয়েছে। এই পুজোর মূল উদ্যোক্তা, দক্ষিণ দমদমের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে, তাঁদের বুঝিয়েই পুজো সরানো সম্ভব হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘সমস্যা সম্পর্কে উদ্যোক্তারা ওয়াকিবহাল। সকলেই চেষ্টা করছেন। তবে সমস্যার সমাধান এক দিনে সম্ভব হয়নি। তার জন্য অনেক সময় লেগেছে।’’
যদিও দমদম রোডের বাকি দু’টি পুজোর একটির অন্যতম উদ্যোক্তা, তৃণমূল নেতা প্রবীর পাল জানান, বিকল্প জায়গার সন্ধান মিললে তাঁরাও এই পথে হাঁটবেন। যদিও দীর্ঘদিন ধরে একই জায়গায় পুজো হয়ে আসায় এর স্থান-মাহাত্ম্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে তাঁরা পুলিশ-প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন। সার্ভিস রোডের উপরে আর একটি পুজোর উদ্যোক্তা, দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ সঞ্জয় দাস জানান, পুজোটি সার্ভিস রোডে হওয়ায় মূল রাস্তার উপরে যান চলাচলে তেমন সমস্যা হবে না বলেই তাঁদের মনে হয়। তবে, বিকল্প জায়গা না থাকায় ইচ্ছে থাকলেও কালীপুজো অন্যত্র সরানোর মতো পরিস্থিতি তাঁদের নেই।