সিদ্ধপুরুষের সংস্পর্শে এসে ধীরে ধীরে ডাকাতদল ডাকাতি ছেড়ে মায়ের ভক্ততে রূপান্তরিত হয়। এলাকায় বন্ধ হয়ে যায় ডাকাতি। এলাকায় শান্তি ফিরে আসে। পরে তিনি মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে ওই স্থানে মায়ের মূর্তি তৈরি করে শক্তির আরাধনা করেন। বর্তমানে এই স্থান জনবহুল এলাকায় পরিণত হয়েছে।
পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর থানা অন্তর্গত মৌতড় গ্রামে সেই পুজো চলে আসছে আজও । বর্তমানে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে মন্দির। মৃন্ময়ী শিলা মূর্তি স্থাপন করে পুজো হয় এখানে। বর্তমানে এই পুজো জেলার সর্ববৃহৎ কালী পুজো। পুজো হয় নিত্যদিন। নিত্যদিন ছাগ বলিও হয় মন্দিরে।
শুধুমাত্র দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন ছাগ বলি বন্ধ করে মায়ের আরাধনা করা হয়। কালীপুজো চারদিন আলাদা উৎসবের চেহারা নেই এই গ্রাম। জেলা ছাড়িয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে তো বটেই ভিন রাজ্য থেকে ভক্তদের ঢল নামে এই মন্দিরে। এক সপ্তাহ ধরে চলে মেলা। ভক্তদের বিশ্বাস এই কালীমন্দিরে কায়মনোবাক্যে মানত করলে তা পূরণ হয় । তাই কালীপুজো দিন হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে ঠাসা থাকে এই মন্দির। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন থাকে পুলিস।