কয়েকদিন পরই কালীপুজো। ঘাটালের একাধিক কালী পুজো মন্ডপে ঢুকেছে বন্যার জল, দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা। এবার আর পুজো করা হয়ে উঠবে না বলেই মনে করছেন পুজো উদ্যোক্তারা। কোথাও মন্ডপের বাঁশের কাঠামো ডুবে রয়েছে জলে। আবার অনেক পুজো কমিটি নতুন করে উঁচু জায়গায় শুরু করেছেন মন্ডপ তৈরির কাজ। সবেমিলিয়ে কালীপুজোর আগে বন্যার ফলে চরম দুশ্চিন্তায় ঘাটালের বানভাসি এলাকার পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা।
অন্যদিকে ঘাটালে জল কমছে ধীর গতিতে, শিলাবতী নদীর জলস্তরও কমছে। তবে এক দুদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার নয় বলছেন বানভাসি ঘাটালবাসী। গত চার পাঁচদিন ধরে প্লাবিত ঘাটাল ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত ও পৌর এলাকার অধিকাংশ ওয়ার্ড। জলের তলায় রাস্তাঘাট,যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকা ও ডিঙি। প্রশাসনের তরফে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। প্রয়োজন মতো সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
ঘাটাল ছাড়াও দাসপুর ১ ব্লকের রাজনগর ও নিচ নাড়াজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশকিছু এলাকা প্লাবিত। এছাড়াও ঘাটাল মহকুমারই চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের মনোহরপুর ১ ও মনোহরপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনও রয়েছে বন্যার জল। জলে ডুবে বিঘের পর বিঘে কৃষি জমি। কালী পুজোর আগে জলে ডুবে ঘাটাল মহকুমার ঘাটাল,চন্দ্রকোনা ও দাসপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। ফলে পুজো এবছর মাটি হল বলে জানাচ্ছেন বানভাসি এলাকার বাসিন্দারা। এইবছরই পরপর তিনবার বন্যার সম্মুখীন হল ঘাটালবাসী। এই জলযন্ত্রণা থেকে একমাত্র মুক্তি মিলতে পারে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত হলে। কিন্তু তা আর কবে হবে, আদৌও হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান ঘাটালের বাসিন্দারা।