শিশুটির দিদা জানিয়েছেন, বাচ্চাটির নাম গুড্ডু। নভেম্বরের ২০ তারিখে ৫ বছর হত ওই শিশুটির। আদতে কেষ্টপুরের বাসিন্দা। মঙ্গলবার সকালে মায়ের সঙ্গে মামার বাড়িতে ঘুরতে আসে সে। বিকেল বেলায় শিশুটির মা বাজারে যায়। তারপর থেকেই শিশুটির কোনও খোঁজ মিলছিল না। শিশুটির দিদা জানান, প্রতিবেশীদের বাড়িতে খোঁজ করেন তাঁরা। ছাদে গিয়েও খুঁজে আসেন। বাইরেও খোঁজখবর করেন। শেষে প্রায় ঘন্টাখানেক খোঁজাখুঁজির পর তাঁরা দেখেন, লিফট তৈরির জায়গায় জমা জলের মধ্যে পড়ে রয়েছে শিশুটি। সঙ্গে সঙ্গে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই শিশুকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
জি +৪ বিল্ডিংটি। শিশুটির দিদার ফ্ল্যাট ফার্স্ট ফ্লোরে। বাড়িটির বয়স ৫ থেকে ৬ বছর। লিফট তৈরির জায়গা করা রয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত লিফট তৈরি হয়নি। লিফট তৈরির জায়গায় ২টো রড দেওয়া রয়েছে। যে কোনও বাচ্চা ওই রড ধরে ঝুলতে পারে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ওই শিশুটি রড ধরে ঝুলতে গিয়েই নীচে জলের মধ্যে পড়ে যায়? নাকি ওই শিশুটি ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে খেলছিল, তখন খেলতে খেলতে পড়ে যায়? ভাবাচ্ছে প্রতিবেশীদের। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তপসিয়া থানার পুলিস। বাড়িওয়ালি জানিয়েছেন, প্রোমোটারের পুরো কমপ্লিট করে দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আজ পর্যন্ত তিনি লিফট তৈরি করে দেননি।