শিবপুর গুলি কাণ্ডে উত্তরপ্রদেশ যোগ! যোগীরাজ্য থেকে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত
প্রতিদিন | ৩০ অক্টোবর ২০২৪
অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: শিবপুর গুলি কাণ্ডে উত্তরপ্রদেশ যোগ। তদন্তে নেমে যোগীরাজ্য থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ধৃত ৬। হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীন কুমার ত্রিপাঠি মঙ্গলবার জানান, এই ঘটনায় যুক্ত অধিকাংশ দুষ্কৃতীই ভিনরাজ্যের বাসিন্দা। হাওড়া বা সংলগ্ন এলাকায় থাকলেও প্রত্যেকেরই ভিনরাজ্যে যোগ রয়েছে। উত্তরপ্রদেশে বসেই শিবপুরের যুবককে খুনের পরিকল্পনা হয়েছিলো কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ শিবপুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত আবদুল কাদের ওরফে প্রেম। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সেই সময় বাইকে করে কয়েকজন দুষ্কৃতী সেখানে যায়। যুব তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তাঁরা। কমপক্ষে ৬ রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলেই দাবি। মুহূর্তের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। লোকজন জড়ো হয়ে যায়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বাইক নিয়ে দ্রুত গতিতে এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় আক্রান্তকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা শুরু হলেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে। এর পরই তদন্তে নেমে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার জানান, এই ঘটনার তদন্তে নেমে হাওড়া সিটি পুলিশ তিনটি দল তৈরি করেছিল। এই তিনটি দল উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর, সুলতানপুরের মতো বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে এই ঘটনায় যুক্ত দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালায়। সেখান থেকেই গ্রেপ্তার হয় মূল অভিযুক্ত আখতার। তবে প্রেম নামে শিবপুরের যে যুবক খুন হয় সেও দুষ্কৃতী ছিল বলেই এদিন স্পষ্ট জানান কমিশনার। তিনি জানান, প্রেমের বিরুদ্ধেও ১০টি মামলা রয়েছে। ফলে এটি গ্যাংওয়ার বলেই মনে করছে পুলিশ।
তবে ভিনরাজ্যের পাশাপাশি এ রাজ্য থেকে মঙ্গলবার সকালে এই খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় ২ জন। বারাকপুর কমিশনারেটের নিমতা থেকে ভিকি ও গ্যারা নামে দুই দুষ্কৃতীকে ৭ এমএম ২টি পিস্তল -সহ এদিন গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়াও ধৃতদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ও একটি বাইক পেয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, প্রেমকে গুলি করে খুন করে এই গ্যারা ও এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া দানিসই। বাকিরা এদের সাহায্য করেছে। এই খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে এই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। এর সঙ্গে আর কেউ যুক্ত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’