• পবনপুত্রের থাবায় জখম অন্তত ১৫ জন, হনুমান ধরতে নামল বনকর্মীরা, মহিষাদলে আতঙ্ক
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ অক্টোবর ২০২৪
  • রাত পোহালেই কালীপুজো। কিন্তু কালীপুজোর আগেই হাজির হল পবনপুত্র। শুধু তো হাজির হওয়া নয়, রীতিমতো তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছে তারা। তার ফলে কালীপুজোর আয়োজন করা শিকেয় উঠেছে। কারণ গ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দুটি হনুমান। আজ, বুধবার দুপুর পর্যন্ত এই দুই হনুমান কামড়ে জখম করেছে অন্তত ১৫ জনকে। আতঙ্কে ঘরবন্দি হয়ে আছেন মানুষজন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।

    হনুমানদের তাণ্ডবের খবর পেয়ে বনকর্মীরা ছুটে এসেছেন। তাদের ধরতে সাহায্য করতে এসেছে থানার পুলিশ কর্মীরাও। এই নিয়ে তোলপাড় কাণ্ড শুরু হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলে। ওই দুই হনুমানকে খাঁচাবন্দি করতে আনা হয়েছে পেল্লায় খাঁচাও। কিন্তু হনুমানরা এত সহজে যে ধরা দেবে না বোঝাই যাচ্ছে। তাই কোনওরকম প্রলোভনে পা দিচ্ছে না তারা। বরং খাঁচার ভিতরে ফাঁদ পেতে রাখা কলা হাতে করে বের করছে আর খেয়ে পালাচ্ছে দুই রামভক্ত। খাঁচাবন্দি কিছুতেই করা যাচ্ছে না। মহিষাদলের কাপাসএড়িয়ায় এখন মাথায় হাত পড়েছে বাসিন্দাদের।

    এখন বাড়ির দরজা–জানালা বন্ধ করে ঘরে বসে আছেন মানুষজন। এই এলাকায় এখন কালীপুজো কেমন করে সম্পন্ন হবে তা নিয়ে মাথায় হাত পড়েছে উদ্যোক্তাদের। কারণ বাড়ি থেকে বের হলেই থাবা মেরে, কামড়ে দিচ্ছে পবনপুত্ররা। এখানকার গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, কদিন আগে খাবারের খোঁজে গ্রামে হানা দিয়েছিল দুটি হনুমান। তারপর থেকেই তাদের তাণ্ডব বাড়তে শুরু করেছে। আর বন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই দুটি হনুমানের মধ্যে একটি খ্যাপা। তার দাপটই সবচেয়ে বেশি। সেই আঁচড়ে, কামড়ে দিচ্ছে। আর একজন শুধু থাবা বসিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। পথচলতি মানুষ তাতে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছেন।

    এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পর্যন্ত এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দা তীর্থঙ্কর বেরা বলেন, ‘‌বন দফতর এসেও কোনও লাভ হয়নি। তারা কিছুতেই হনুমান দুটিকে ধরতে পারছে না। হনুমান তো খাঁচাবন্দি হওয়ার বদলে বনকর্মীদেরই বোকা বানিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’‌ তবে এই বিষয়ে মহিষাদল ব্লকের বিডিও বরুণাশিস সরকারের বক্তব্য, ‘‌এই ঘটনা সামলাতে বনকর্মীরা গ্রামে গিয়েছেন। হনুমান দুটিকে বন্দি করতে ফাঁদ পাতা হয়েছে। স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মীরাও সাহায্য করছেন। সব ধরনের চেষ্টা হচ্ছে। কেমন করে তাদের বাগে আনা যায় সেই কাজই চলছে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)