সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগেও গরমিল, কাজে যোগ দিতে পারলেন না ৭৪ জন
হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ অক্টোবর ২০২৪
হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের ক্ষেত্রেও বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। দুই মেদিনীপুরের সরকারি হাসপাতালে বেআইনিভাবে একটি নিরাপত্তা এজেন্সিকে কাজের বরাতে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই টেন্ডার বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে বলা হয়, ওই এজেন্সির নিরাপত্তারক্ষীদের দ্রুত হাসপাতাল থেকে সরিয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি এ প্রসঙ্গে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদালতের এই নির্দেশের ফলে চাকরিতে যোগ দিতে পারলেন না নিরাপত্তারক্ষীরা। মঙ্গলবার কাজে যোগ দিতে গিয়ে ফিরতে হয় সংশ্লিষ্ট সংস্থার নবনিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীদের।
প্রসঙ্গত, শুধু মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজেই গত সেপ্টেম্বরে ৭৪ জন নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে ওই এজেন্সি। সেইমতোই প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। এরপর প্রশিক্ষণ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে মঙ্গলবার তাদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। অনেকেই সেখানে যোগ দিতে যান। তবে কলকাতা হাইকোর্ট ওই এজেন্সির কাজের বরাত বাতিল করতেই তাদের খালি হাতে ফিরতে হয়।
মামলায় অভিযোগ তোলা হয়, ওই সংস্থাকে বেআইনিভাবে কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল। বছরের পর বছর একটি সংস্থাই সেখানে কাজের বরাত পেয়ে আসছিল। ফলে প্রকৃত পদ্ধতি মেনে টেন্ডার ডাকার ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে। মামলাকারীর বক্তব্য, প্রকৃত টেন্ডার অনুযায়ী মেদিনীপুরের হাসপাতালগুলিতে অন্য একটি সংস্থার কাজের বরাত পাওয়ার কথা। কিন্তু, তা হয়নি। নোটিস দিয়ে সংস্থাটিকে বাদ দেওয়া হয়। কলকাতা হাইকোর্ট টেন্ডারে অনিয়ম খুঁজে পাওয়ার পরেই কাজের বরাত বাতিল করে দেয়। সেইসঙ্গে নোটিসও স্থগিত করে বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের বেঞ্চ। একইসঙ্গে আদালত এই ধরনের নোটিস দেওয়ার কারণ জানতে চেয়েছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের এ বিষয়ে হলফনামা দিতে বলেছে হাইকোর্ট। তাছাড়া ওই সংস্থাটি কীভাবে বরাত পেয়েছে তাও জানাতে বলা হয়েছে।
পড়ুনঃ ‘ফেক’ থ্রেট কালচার! আরজি করে বিক্ষোভ দিয়ে ‘বরণ’ করা হল সাসপেন্ড হওয়ার জুনিয়রদের
এদিকে, হাইকোর্টের এই নির্দেশ পৌঁছতেই আর কাজে যোগ দিতে পারেননি নব নিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীরা। এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শঙ্কর সারেঙ্গি বলেন, ডিরেক্টরেট অব মেডিক্যাল এডুকেশনের অধীনে এই পুরো বিষয়টি হয়েছে। তাই তিনি এ সম্পর্কে কিছু জানেন না।