রাত পোহালেই কালীপুজো, যানজট- নিরাপত্তায় প্রস্তুত পুলিশ, বারাসতে যান নিয়ন্ত্রণ
হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ অক্টোবর ২০২৪
রাত পোহালেই কালীপুজো। কলকাতা–সহ জেলায় এই কালীপুজো বড় আকারে হয়। তবে কলকাতার থেকে জেলায় কালীপুজো বেশি হয় এবং বড় আকারে হয়। নানা থিম নিয়ে কালীপুজো জেলাতেই দেখা যায়। আর তাই কলকাতা মানুষজন কালীপুজো দেখতে জেলায় হাজির হন। সারারাত কালীপুজো দেখার চলও আছে। এই কালীপুজোয় বারাসত, মধ্যমগ্রামে বিপুল পরিমাণ মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। আর তাই আজ বুধবার থেকে বারাসত, মধ্যমগ্রামের নানা রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। যাতে মানুষ যানজটে আটকে না পড়েন।
একদিকে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা অপরদিকে যানজট তৈরি না হওয়া। এই দুটি বিষয়কে মাথায় রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছে পুলিশ প্রশাসন। আজ, বুধবার থেকেই বারাসাত, মধ্যমগ্রাম–সহ অন্যান্য যেখানে দর্শনার্থীদের ঢল নামে সেখানে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়ে যাবে কালীপুজোর উদ্বোধন। তারপর থেকেই রাস্তায় নেমে পড়বেন মানুষজন। এই কারণে বারাসাতের উপর দিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়ক এবং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা যানজট মুক্ত রাখতে জোরকদমে কাজ করছে জেলা ট্রাফিক পুলিশ। জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় ‘নো এন্ট্রি’ বোর্ড লাগাতে শুরু করেছে। বারাসাত ও মধ্যমগ্রামে তা দেখা যাচ্ছে।
কালীপুজো উপলক্ষ্যে দুপুর ১টা থেকে ভোর ৪টে পর্যন্ত ভারী পণ্যবাহী যানবাহন যাতে চলাচল করতে না পারে তার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি থাকছে। যা কার্যকর থাকবে আগামী ৩ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত। আর যাত্রীবাহী বাস দুপুর ৩টে পর্যন্ত চলাচল করলেও এয়ারপোর্টের দিক থেকে আসা সমস্ত বাসগুলিকে বারাসাতের আগে রথতলায় দাঁড় করিয়ে দেওয়া হবে। তা না হলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হবে। এখানেই শেষ নয়, পুলিশ প্রশাসন সূত্রে প্রাপ্ত খবর, ব্যারাকপুরের দিক থেকে আগত বাসগুলিকে সত্যভারতীর স্কুল পর্যন্ত যেতে দেওয়া হবে। টাকি রোড ধরে যেসব বাস আসবে সেগুলিকে শতদল ক্লাবের সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হবে এবং হাবড়া থেকে আসা বাসগুলিকে বামুনগাছিতে দাঁড় করানো হবে।
তবে বিভিন্ন বাইপাস রাস্তাগুলি দিয়ে যান চলাচল একেবারে স্বাভাবিক রাখা হবে। ট্রাফিক পুলিশ গোটা বিষয়টি দেখার জন্য সর্বত্র পৌঁছে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গমুখী যানবাহনগুলির ক্ষেত্রে মধ্যমগ্রাম চৌমাথা, সোদপুর রোড, মুড়াগাছা হয়ে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ধরে জাগুলি হয়ে জাতীয় সড়ক দিয়ে এগিয়ে দেওয়া হবে। রাজবেড়িয়া পর্যন্ত ‘নো এন্ট্রি’ থাকছে। এই বিষয়ে ডিএসপি ট্রাফিক অলোকরঞ্জন মুন্সি জানান, আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত বারাসাতের কালীপুজোর জন্য দর্শনার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেটার জন্য ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ট্রাফিক পুলিশ কর্মী থাকবে ২৪ ঘণ্টা।