‘এনআইএ, সিবিআই, ইডি বিজেপির শাখা সংগঠন’, উপনির্বাচনের আগে বিস্ফোরক পার্থ
হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ অক্টোবর ২০২৪
বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পান্ডের গাড়িতে হামলার ঘটনার তদন্তে সোমবার ভাটপাড়ায় আসেন এনআইএ’র আধিকারিকরা। মঙ্গলবার আবার তাঁর বাড়ির সামনে বোমা উদ্ধার হয়। সেটা নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে। নভেম্বর মাসের ১৩ তারিখ নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। তাই জোরদার প্রচার সেখানে শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় এনআইএ বাংলার মাটিতে পা রাখা নিয়ে কড়া ভাষায় বিঁধলেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ পার্থ ভৌমিক। এখন তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার নৈহাটির ঐকতান মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করেন পার্থবাবু। সেখানে উপনির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সনৎ দে’র প্রশংসা করেন। করোনাভাইরাসের সময় এই সনৎ দে যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা করেছিলেন সেটা ভোলা যায় না বলে জানান পার্থ। আর তখনই সাংবাদিক বৈঠকে সাংসদ পার্থ ভৌমিক দাবি করলেন, ‘এনআইএ, সিবিআই, ইডি বিজেপির শাখা সংগঠন। তাই এঁরা বিজেপির কথা মতো কাজ করে। এখন তৃণমূল কংগ্রেসের কাউকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। পুরোটাই রাজনৈতিক অভিযান।’
বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পান্ডের গাড়িতে হামলা এবং বোমা উদ্ধারের ঘটনাতেও তাঁকেই দায়ী করেছেন পার্থ ভৌমিক। বিজেপি এটা শুনে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও বিষয়টি ভালভাবে নেয়নি বলেই সূত্রের খবর। তবে পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘এনআইএ বিজেপির শাখা সংগঠন ছাড়া কিছু নয়। প্রিয়াঙ্গু নিজেই বাড়ির সামনে বোমা রেখেছে। কারণ কোনও উপায় না পেয়ে অর্জুন সিং এনআইএকে দিয়ে আমাদের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে ফাঁসাতে চাইছেন।’ আসলে সামনে উপনির্বাচন। বিজেপি জিততে পারবে না ভোটের মাধ্যমে। তাই এই ছলনা বলে মনে করেন পার্থ।
সম্প্রতি বিজেপি নেতা অর্জুন সিং অভিযোগ করেছিলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী মদ–মাংস খায়। তাই সেটিং হয়ে যায়। টাকাপয়সাও নেয়।’ এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখবেন বলেও জানিয়েছেন পার্থ। তাঁর কথায়, ‘এই ধরনের কথা আধাসেনার মনোবলে আঘাত করতে পারে। হালিশহরে বোমা বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই ঘটনায় জড়িত ছিলেন বিজেপি নেতা বিট্টু জয়সওয়াল। বিজেপি নেতা হবার সুবাদে এনআইএ তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে। আর তৃণমূল নেতাদের হেনস্থা করতেই সিবিআই, ইডি, এনআইএ’কে কাজে লাগানো হচ্ছে। মানুষ হচ্ছে গণদেবতা। গণদেবতার ওপর আমাদের আস্থা আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাংলার সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে।’