কেজরী বুধবার বলেন ‘‘ভারতের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) ইতিমধ্যেই ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পে বেশ কিছু অনিয়ম চিহ্নিত করেছেন। দিল্লি সরকারের স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প যে কেন্দ্রীয় যোজনার চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর, রিপোর্ট দেখলেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’ সেই সঙ্গে এক্স পোস্টে কেজরী লিখেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ সীমাবন্ধ পরিসরে সীমিত মানুষের জন্য। দিল্লি সরকারের স্বাস্থ্য বিমা মডেল সকলের জন্য।’’ দিল্লির আপ সরকারের ওই প্রকল্পে চিকিৎসায় সহায়তার আর্থিক অঙ্ক পূর্বনির্দিষ্ট নয় বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দিল্লির ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদ’-এ একটি কর্মসূচিতে মোদী অভিযোগ করেছিলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আপ পরিচালিত দিল্লি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী অতিশীর অসহযোগিতার কারণে কেন্দ্রের ‘আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প’ সেখানে কার্যকর হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘‘আমি দিল্লির এবং পশ্চিমবঙ্গের ৭০ বছরের বেশি বয়সি সমস্ত প্রবীণের কাছে ক্ষমা চাইছি যে আমি আপনাদের সেবা করতে সক্ষম হব না।’’ এর পরে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি তাঁদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, যে তাঁরা কেমন আছেন, সে বিষয়ে কোনও তথ্যই আমি পাব না। তাই কোনও সাহায্যও করতে পারব না। এর কারণ হল পশ্চিমবঙ্গের সরকার এবং দিল্লির সরকার এই আয়ুষ্মান যোজনায় যোগ দিচ্ছে না।’’
মোদীর অভিযোগের জবাবে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ মঙ্গলবার বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলায় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু রয়েছে। রাজ্যের সমস্ত পরিবারের সবাই এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন। তাঁরা সুবিধা পাচ্ছেন। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্র্রী আয়ুষ্মানের কোনও নিয়মকানুন উল্লেখ করেননি। ওই প্রকল্পে সকলে স্বাস্থ্যবিমার সুযোগ পান না। দুর্ভাগ্যজনক হল, বাংলা এবং দিল্লিতে রাজনৈতিক ভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়ে প্রধানমন্ত্রী ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।’’