হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত অগস্ট মাস থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের কলেজের মর্গে অন্তত ৩০টি দাবিদারহীন দেহ পড়ে রয়েছে। মর্গে ৩২টি দেহ রাখা যায়। কিন্তু এই মুহূর্তে ১৬টি ফ্রিজ়ার খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। পূর্ত দফতর ইতিমধ্যে মেরামতের কাজ হাতে নিলেও , তা এখনও শেষ হয়নি। ফলে এখন মৃতদেহ রাখা হচ্ছে বাকি ১৪টি ফ্রিজ়ারে। এর ফলে প্রায় সময়েই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে আশপাশের এলাকায়। হাসপাতাল চত্বরের একেবারে শেষ প্রান্তে মর্গ এবং ময়নাতদন্তের ঘরটি রয়েছে। তার পাশ দিয়েই কোয়ার্টার এবং বসতি। স্থানীয় প্রদীপ দেবনাথ বলেন, ‘‘দুটো কুলিং চেম্বারের মধ্যে একটি খারাপ। দীর্ঘদিন ধরে মৃতদেহ জমতে জমতে এখন এমন দুর্গন্ধ বার হয় যে আমাদের জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে৷ আমরা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।’’ রূপম ঘোষ বলেন, ‘‘পচা মৃতদেহের গন্ধে রোগব্যাধি শুরু হবে এলাকায়। আমরা কী করে রয়েছি, আমরাই জনাই। বাড়িতে খাওয়াদাওয়া বন্ধ হয়ে যায় এই দুর্গন্ধের চোটে।’’
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সাত দিনের মধ্যে দাবিদারহীন দেহের সৎকার হয়ে যাওয়ার কথা। এই ধরনের নির্দেশ মূলত জেলা প্রশাসন থেকেই আসে। কিন্তু সম্প্রতি সেই নির্দেশ আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলেই জানাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডাক্তার রাজীব প্রসাদ বলেন, ‘‘সরকারি নিয়ম মেনেই কাজ করা হয়েছে। চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও অর্ডার আসেনি।’’ এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা।