বুধবার পুলিস পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। ধৃতদের পুলিস হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে। জেলা পুলিস সুপার সায়ক দাস জানান, নির্যাতিতা তরুণীর বাড়ি অন্য পাড়ায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই তরুণী তাঁর বন্ধুর সঙ্গে বিজয়রাম এলাকায় গিয়েছিল। পাঁচ অভিযুক্ত যুবক এলাকার একটি নির্মীয়মান বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে পুলিস পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার বন্ধু অভিযুক্ত পাঁচ জনকেই আগে থেকে চেনে। ধৃতদের সবার বাড়ি বিজয়রাম এলাকায়।
নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ডের পাশাপাশি তার বন্ধুর বয়ান রেকর্ড করা হবে বলে জানা গেছে পুলিস সূত্রে। আজই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নির্যাতিতা তরুণীর মেডিকেল টেস্ট করা হয়।
উল্লেখ্য, কল্যাণীকে গৃহবধূকে 'গণধর্ষণ'। অভিযোগ পাওয়ার পরই তত্পর পুলিস। গ্রেফতার ৮। ধৃতেরা সকলেই উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়ার বাসিন্দা। ঘটনাস্থলে পৌঁছল ফরেনসিক টিম। পুলিস সুত্রে খবর, গতকাল মঙ্গলবার রাতে কল্যাণী ব্যারাকপুর এক্সপ্রেসের নিচে দিয়ে যাচ্ছিলেন ওই তরুণী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী। সেখানে বসেই তখন মদ্যপান করছিলেন বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। অভিযোগ, তারা ওই মহিলাকে কল্যাণী রেল ব্রিজে নিচে যায় এবং গণধর্ষণ করে। এরপর নির্যাতিতার চিত্কার শুনে যখন আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন, তখন চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
আজ, বুধবার সকালে কল্যাণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারে লোকেরা। দ্রুত তদন্তে নামে পুলিস। কাঁচড়াপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় চার অভিযুক্তকে।