কেন?
কারণ, 'ডানা' ঘূর্ণিঝড়। ডানার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধ ছিল মৎস্যজীবীদের। আবহাওয়া কাটতেই ইলিশ ধরতে রওনা দেয় গভীর সমুদ্রে। সামনে ভাইফোঁটা তাই ইলিশের জোগান দিতে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল কয়েকশো মৎস্যজীবীদের ট্রলার। তাদের একে একে ফিরলেও মৎস্যজীবীদের জালে কিন্তু সেভাবে ধরা পড়েনি ইলিশ।
কালীপুজোর এবং ভাইফোঁটার বাজারে ইলিশের উপযুক্ত জোগান দেওয়ার জন্য ট্রলারগুলি গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিলেও অল্পবিস্তার ইলিশ পেয়েই মন খারাপ নিয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে মৎস্যজীবীদের। ডায়মন্ড হারবার নামখানা কাকদ্বীপ বকখালি-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উপকূলবর্তী এলাকায় মনখারাপের এই ছবিটা মোটামুটি এক। হতাশ হয়ে ট্রলার নিয়ে ফিরে আসছেন এই মৎস্যজীবীরা।
তবে এর মধ্যেই আশা ছাড়েননি অনেক মৎস্যজীবীই। বেশ কিছু ট্রলার ফিরলেও এখনও গভীর সমুদ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছে বেশ কিছু ট্রলার। এদের অনেকেই এখনও মাছ ধরার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ নতুন করে রওনাও দিচ্ছে। তারা হয়তো ভাইফোঁটার আগে ফিরবে না। তবু বাড়তি উপার্জনের জন্য এভাবেই মৎস্যজীবীরা ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিচ্ছেন। যদি শীতের মুখেও মাছরসিক বাঙালির মুখে তুলে দেওয়া যায় জলের রুপোলি শস্য ইলিশ।