জি ২৪ ঘণ্টাকে মনোরঞ্জন বলেন, 'সাধারণ মানুষ যাঁরা বলাগড়ের, তাঁদের মধ্যে আমার জনপ্রিয়তা ব্যাপক। কিন্তু যাঁরা নেতৃত্ব,তাঁরা কথা বলার সময়ে প্রত্যেকেই বলে আমরা ৯৮ সাল থেকে পার্টি করি। হঠাত্ আমি বাইরের জেলা থেকে একজন গিয়ে ওখানে বসে গিয়েছে, বিধায়ক হয়ে গিয়েছি। এবার তাদের হুকুম আমি তামিল করছি না। আমি যেটা ভালো মনে হয় জনসাধারণের জন্য, সেই কাজটা করার জন্য চাপ দিচ্ছি। এটা তাঁদের কাছে একটা কষ্টদায়ক ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে। ফলে তারা আমাদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছে। ধীরে ধীরে সেই দূরত্বটা একটা বৈরিতার পর্যায়েও চলে গিয়েছে বলা যায়। ফলে ওনারা আমাকে ডাকেন না, ওনারা ওনাদের মতো কাজ করছেন'।
তৃণমূল বিধায়কের দাবি, 'বলাগড়ে পুরনো দিনের যা নেতৃত্ববৃন্দ, তাঁরা কী করতে পারেন, না পারেন, সেটা লোকসভার ভোটে প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে'। কী প্রমাণ হয়ে গিয়েছে? তিনি বলেন, 'নিজের বুথে যে জিততে পারে না, নিজের পঞ্চায়েতে যে জিততে পারে না, সে যদি বলে, আমি বিশাল বড় নেতা। যেহেতু আমরা সঙ্গে অমুক নেতার, তমুক নেতার চেনা আছে। এই চেনাজানার সুবাদেই যদি বড় নেতা হয়ে থাকে, তাহলে আর কী বলার আছে। জনগণের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা কতখানি? নেই। কিন্তু চেনা জানার কারণে পিঠ চাপড়ানি পাচ্ছে কোনও কোনও স্তর থেকে। ফলে তারা আমাকে গুরত্ব দিচ্ছে না, অসম্মান করারও সাহস তারা করছে। ফলে আমি দেখছি, কেন ভাই আমি জেনেবুঝে অসম্মান, অপমান হতে থাকব। তার চেয়ে আমি দূরে থাকে'।