এক মহিলা সাংবাদিককে হেনস্থার অভিযোগে তন্ময়কে ইতিমধ্যেই দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করেছে সিপিএম। গত রবিবারই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ওই ঘোষণা করেছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি এ-ও জানিয়েছিলেন, তন্ময়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখবে দলের ইন্টারনাল কমপ্লেন কমিটি (আইসিসি)। বুধবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক বসেছিল। সেই বৈঠক থেকেই তন্ময়ের বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘আইসিসি’কে তদন্ত করে দেখার সুপারিশ করা হয়েছে। দলের অভ্যন্তরে এই কমিটির মাথায় রয়েছেন বর্ধমানের নেত্রী অঞ্জু কর। তা ছাড়াও রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির তিন সদস্য আভাস রায়চৌধুরী, রেখা গোস্বামী এবং সুমিত দে। আইসিসি এ বার ঠিক করবে, কবে তারা তন্ময়কে ডাকবে। তবে বুধবার সন্ধ্যায় তন্ময় জানিয়েছেন, তাঁকে এখনও দলের তরফে ডাকা হয়নি।
গত রবিবার ফেসবুক লাইভ করে এক মহিলা সাংবাদিক অভিযোগ করেছিলেন, তিনি যখন তন্ময়ের বরাহনগরের বাড়িতে সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলেন, সেই সময়ে তিনি তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। ওই মহিলা সাংবাদিকের অভিযোগ, সাক্ষাৎকার নেওয়ার আগে তন্ময় তাঁর কোলে বসে পড়েছিলেন। প্রথমে ফেসবুক লাইভে গোটা ঘটনা বলার পরে বরাহনগর থানায় অভিযোগ করেন তরুণী ওই সাংবাদিক। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত সোমবার তন্ময়কে প্রায় চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তন্ময় থানা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ওই তরুণীর বয়ানও নিয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
তন্ময় দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে পরিকল্পিত কুৎসা করা হচ্ছে। ওই মহিলা সাংবাদিক যে কথা বলছেন, তেমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি বলে দাবি প্রাক্তন সিপিএম বিধায়কের। তন্ময় এ প্রশ্নও তুলেছেন, তাঁর ওজন ৮৩ কেজি, মহিলা সাংবাদিকের ওজন ৪০ কেজি। তিনি যদি কোলে বসতেন, তা হলে কি ওই সাংবাদিক আহত হতেন না! যে মন্তব্য নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে সিপিএমের মধ্যে এবং বাইরে। যদিও তন্ময় অনুগামীদের বক্তব্য, দলের সম্মেলন প্রক্রিয়ার আগে ‘পরিকল্পনা’ করেই এই ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তন্ময় জানিয়েছেন, পুলিশ যে দিন ডেকেছে, সে দিন তিনি ফের যাবেন। দল ডাকলেও যাবেন।