নিয়ম ভেঙে কালীপুজোর আগেই শহরে দেদার বাজি ফাটানোর অভিযোগ, প্রশ্নের মুখে পুলিশ
হিন্দুস্তান টাইমস | ৩১ অক্টোবর ২০২৪
কালীপুজোর আগেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় দেদার বাজি ফাটানোর অভিযোগ উঠল। তাও আবার বেশিরভাগই সবুজ বাজি নয় বলে অভিযোগ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, শুধুমাত্র কালীপুজোর রাতেই ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত মাত্র দু'ঘণ্টা বাজি ফাটানো যাবে। কিন্তু, কালীপুজোর আগে থেকেই সেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে নির্দেশ লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় পুলিশের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশবিদরা। একইসঙ্গে সবুজ বাজির আড়ালে নিষিদ্ধ বাজি বিক্রির অভিযোগ তুলেছেন তারা।
ইএম বাইপাস লাগোয়া উত্তর পঞ্চান্নগ্রাম, পাটুলি, বালিগঞ্জ, পঞ্চসায়র, ভবানীপুর, বেলেঘাটা, ফুলবাগান, তালতলা, কাশীপুরের মতো এলাকায় বাজি ফাটানোর অভিযোগ সামনে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ করা হচ্ছে, গত রবিবার থেকেই বাজি ফাটানো শুরু হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় এ বছরের কালীপুজোর রাতেও দেদার বেআইনি বাজি ফাটানোর আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা। পাশাপাশি বাজি ক্লাস্টার তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও কেন তা পূরণ হচ্ছে না? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
পরিবেশবিদরা জানাচ্ছেন, সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, শুধুমাত্র বৈধ বাজারে সবুজ বাজি বিক্রি করা যাবে। অন্য কোথাও কোনও ধরনের বাজি বিক্রি করা যাবে না, সে সবুজ বাজিই হোক না কেন। কিন্তু, তারপরও দেখা যাচ্ছে যে কলকাতার বৈধ বাজি বাজার ছাড়াও বিভিন্ন দোকানে বাজি বিক্রি হচ্ছে। আর সেখানে অনেক জায়গাতেই বেআইনি বাজি পাওয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ।
এর পাশাপাশি রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ তুলেছেন পরিবেশবিদরা। এবছর শব্দবাজির সীমা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২৫ ডেসিবল। প্রথম দিকে কলকাতা পুলিশ বাজি পরীক্ষা না করা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু, পরিবেশবিদদের চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত বাজি পরীক্ষা করা হবে বলে জানায় কলকাতা পুলিশ। সেই সেই মতো পরীক্ষার আয়োজনও করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বা নিরির সদস্যরা অনুপস্থিত ছিলেন। গত বছর একইভাবে বাজি পরীক্ষা সময় তারা উপস্থিত ছিলেন না। ফলে পরীক্ষা করা যায়নি। এবারও তাই হয়েছে। তাছাড়া বলা হয়েছে, বাজির প্যাকেটে থাকা কিউ আর কোড স্ক্যান করলেই শংসাপত্র বেরিয়ে আসবে। কিন্তু, তা হচ্ছে না। এবিষয়ে কলকাতা পুলিশের সক্রিয়তার পাশাপাশি দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশবিদরা। কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ বর্মা জানিয়েছেন, প্রতিটি থানাকে এবিষয়ে কড়া নির্দেশ দেওয়া আছে। ধরা পড়লেই আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।’