• দল দেখে নয়, যোগ্য প্রাপকরাই যেন আবাস যোজনার বাড়ি পান, আহমদপুরে বিজয়া সম্মিলনিতে বার্তা অনুব্রতর
    বর্তমান | ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি ও সংবাদদাতা, বোলপুর: আবাস যোজনার বাড়ি দেওয়ার সময় দলের লোক দেখা উচিত নয়। কেবলমাত্র যোগ্য প্রাপক গরিব মানুষদেরই বাড়ি দেওয়া উচিত। বিজয়া সম্মিলনির মঞ্চ থেকে দলের কর্মীদের উদ্দেশে এমনই বার্তা দিলেন তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। টানা ১৩দিন জেলায় ঘুরে বিজয়া সম্মিলনির শেষে আহমদপুর ও লাভপুরের সভা থেকে আবাস প্রকল্প নিয়ে পক্ষপাতিত্ব না করাব পাঠ দিলেন তিনি।

    এদিন আহমদপুর ও লাভপুরে দলের বিজয়া সম্মিলনি ছিল। জেল থেকে ফেরার পর ১৭ অক্টোবর মুরারই থেকে ব্লকে ব্লকে বিজয়া সম্মিলনি শুরু করেন কেষ্ট। ২১টি ব্লকের মধ্যে ১৯টিতেই হাজির ছিলেন তিনি। কেবলমাত্র নানুর ও ওই বিধানসভার বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকে হাজির ছিলেন না। এই ক’দিনে এক অচেনা কেষ্টকে দেখল জেলাবাসী। এই সুযোগে ‘মানুষের পালস’ কোন দিকে তাও বুঝে নিলেন তিনি। শেষদিনেও কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন, হানাহানি বন্ধ করে একসঙ্গে হাতে হাত রেখে চলার। তবে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে, আবাস যোজনা নিয়ে কর্মীদের সতর্ক করার প্রসঙ্গ। দুই সভাতেই কেবলমাত্র যোগ্য ব্যক্তিরাই যেন বাড়ি পান সেই আবেদন রাখেন তিনি। 

    লাভপুরের মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, বাড়ির টাকা যেন নয়ছয় না হয়। গরিব মানুষকে বাড়িটা দিন। তা হলেই ভালো হবে। আমার একটা পাকা বাড়ি আছে। দু’টো বাড়ি আছে। আমাকে বাড়ি দেবেন না। আবাস যোজনা প্রসঙ্গে আহমদপুর থেকে তিনি বলেন, সরকারি কর্মীরা সার্ভে শুরু করেছেন। যাঁরা যোগ্য তাঁরাই বাড়ি পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী টাকা দেবেন। কোর কমিটির মিটিং ডাকার প্রসঙ্গে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন কেষ্ট। তিনি বলেন, বিধায়ক, বিকাশদাকে বলব আগে কোর কমিটির বৈঠক ডাকতে। সেই মিটিংয়ে থাকব। তারপরই জেলা কমিটির বৈঠক ডাকব। তারপর সিদ্ধান্ত নেব। 

    এদিন লাভপুরে পঞ্চায়েত সমিতির মাঠেও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়ে। অনুব্রত বলেন, বাম আমলে বারবার বলেও লাঘাটা সেতু তৈরি করা যায়নি। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছিলাম। এক কথায় রাজি হয়ে গিয়ে এই সেতু তৈরি করে দিয়েছেন। বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ের কালীপুজো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুজো যেমন হয় তেমনই হবে। দু’বছর আমি ছিলাম না। পুজো কি বন্ধ ছিল? যেমনভাবে গয়না পরানো হয় তেমনভাবেই হবে। আগে যে পরিমাণ(৫৭০ ভরি) গয়না পরানো হতো সেগুলো কি পরানো হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে, কতটা গয়না ছিল আপনারা জানলেন কী করে? এই বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান কেষ্ট। 

    কোর কমিটির বৈঠক নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ভাইফোঁটা, জগদ্ধাত্রী পুজোর পর কোর কমিটির সদস্যদের বৈঠক করতে নির্দেশ দিয়েছি। তারপর জেলাস্তরে ফের বৈঠক করে যা সিদ্ধান্ত হবে তা রাজ্যকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। অনুব্রত ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, স্থানীয় বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী।
  • Link to this news (বর্তমান)