• ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’তে ফোন করে বাড়ির আবেদন জানালেন তিলডাঙার বাসিন্দারা
    বর্তমান | ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, রামপুরহাট: আমজনতার অভাব-অভিযোগ শুনতে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ নম্বর চালু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকাল থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও তৃণমূল নেতাদের উপস্থিতিতে ওই নম্বরে ফোন করে সরকারি বাড়ি চেয়ে আবেদন জানালেন রামপুরহাট-১ ব্লকের কুসুম্বা পঞ্চায়েতের তিলডাঙা গ্রামের বাসিন্দারা। যদিও গ্রামে নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকায় কিছুটা দূরে তুম্বুনি গ্রামে এসেও কয়েকজন ফোন করেন। 

    সম্প্রতি আবাস যোজনার তালিকায় নাম থাকা আবেদনকারীদের বাড়ি বাড়ি সার্ভের কাজ শুরু করছেন প্রশাসনিক কর্তারা। এদিকে আবেদন করার পরও সেই তালিকায় তিলডাঙা গ্রামের একজনেরও নাম না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন দুঃস্থ বাসিন্দারা। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই গ্রামে নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকায় জিও ট্যাগিং করতে না পারায় বাদ পড়েছে।

    গ্রামে ৪৫টি দুঃস্থ আদিবাসী পরিবারের বসবাস। পুলিস গ্রামে তদন্তে এসে তাঁদের মাটির ভাঙাচোরা বাড়ি চাক্ষুষ করে যায়। বঞ্চনার প্রতিবাদে গত সোমবার গ্রামের বহু বাসিন্দা বিডিও অফিসের গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখান। যদিও বিডিও অঙ্কুর মিত্র সেইদিন না থাকায় পরেরদিন বিকেলে গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। সেখানে পুলিস ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বিডিও গ্রামবাসীদের বাড়ি চেয়ে আবেদন করার পরামর্শ দেন। গ্রামবাসীরা বলেন, বহু আগেই তাঁরা আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদনের কী হল? বিডিও অবশ্য তাঁদের নতুন করে আবেদন করার জন্য বলেন। সমস্যার সুরাহা করতে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’র দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেন জনপ্রতিধিরা। 

    সেইমতো এদিন গ্রামের ফাঁকা জায়গায় ফোন করতে একজোট হন গ্রামবাসীরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পান্থ দাস, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বালক লেট প্রমুখ। নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকায় তা বারবার কেটে যায়। ফলে দুপুর পর্যন্ত চেষ্টা করেও একজনেরও নাম নথিভুক্ত করতে পারেননি তাঁরা। দুপুরে গ্রামের বাসিন্দাদের কিছুটা দূরে তুম্বনি গ্রামে ডাকা হয়। অবশেষে সেখান থেকে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’তে ফোন করে কয়েকজন বাড়ি চেয়ে আবেদন জানান। এর আগে আশপাশের গ্রামের অনেকের সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে ফোন করে সমস্যার সমাধান হয়েছে। ফলে আশার আলো দেখছেন তিলডাঙার রুনু হাঁসদা, সোনামুনি মার্ডি, সম্মতি হেমব্রমরা। 

    পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পান্থ দাস বলেন, তিলডাঙায় নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকায় তম্বুনি গ্রামে নিয়ে এসে তাঁদের কয়েকজনকে ওই নম্বরে ফোন করিয়ে আবেদন জানানো হয়। আশা করি সমস্যার সমাধান হবে। গ্রামবাসীরাও জানান, একসঙ্গে সকলেই যে সরকারি বাড়ি পাবেন, এমনটা নয়। কিন্তু পেতে শুরু করলে আস্তে আস্তে সকলেই এই প্রকল্পের আওতায় চলে আসবেন। বিডিও বলেন, গ্রামবাসীদের আবেদন করার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি সমস্যার সমাধানে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করব।
  • Link to this news (বর্তমান)