• বর্ধমানে প্রেমিককে আটকে যুবতীকে ধর্ষণ, পাকড়াও ৫
    বর্তমান | ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান ও সংবাদদাতা, বর্ধমান: বর্ধমানের বিজয়রামে প্রেমিককে আটকে যুবতীকে ধর্ষণ করে এক দুষ্কৃতী। আরও চার দুষ্কৃতী তাঁর শ্লীলতাহানি করে। বাধা দিতে গেলে তাঁকে মারধরও করা হয়। এমনকী, হেরোইন খাওয়ার জন্য তাঁকে চাপ দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মূল অভিযুক্ত সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান মহিলা থানার পুলিস। ধৃতদের নাম শেখ সোলেমান ওরফে সোহেল, রোহিত মির্জা, শেখ সিরাজ, শেখ আসগর ওরফে মনু ও মহম্মদ আরিফ। অতিরিক্ত পুলিস সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিজয়রামের ক্যানেলপাড়, মসজিদতলা, হটুদেওয়ান পীরতলা ও শোলাপুর এলাকায় ধৃতদের বাড়ি। তাদের মধ্যে কয়েকজন পেশায় মোজাইক মিস্ত্রি। ধৃতদের সাত দিনের পুলিসি হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হচ্ছে। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন ওই যুবতীর প্রেমিকের পরিচিত। তারা ওই দু’জনকে দাঁড় করিয়ে কথা বলতে শুরু করে। বাকি তিনজন ওই যুবকের অপরিচিত ছিল। ওই তিনজনের মধ্যে একজন যুবতীকে ধর্ষণ করে। বাকি চারজন সেই সময় তাঁর শ্লীলতাহানি করে। তাদের থেকে বাঁচার জন্য ওই যুবতী হাতে পায়ে ধরে। কিন্তু তাতেও তারা সাড়া না দিয়ে আরও বেশি অত্যাচার শুরু করে অভিযুক্তরা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবতীর প্রেমিককে ঘটনার সাক্ষী করা হয়েছে। তাকেও দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। 

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান থানা এলাকায় ওই যুবতীর বাড়ি। তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে অন্যান্য দিনের মতো ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় রাস্তা ফাঁকা ছিল। সেই সুযোগ নেয় দুষ্কৃতীরা। তাঁদের কাছ থেকে প্রথমে  টাকা দাবি করে তারা। তাঁরা দিতে রাজি না হলে জোর করে যুবতীর কাছে থাকা ৬০০০ টাকা তারা কেড়ে নেয়। যুবতীর বন্ধুরও ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর যুবতীকে জোর করে একজন রাস্তার পাশে একটি নির্জন জায়গায় টেনে নিয়ে যায়। প্রেমিককে দু’জন জোর করে আটকে রাখে। এরপর সোলেমান যুবতীকে ধর্ষণ করে। সেখান থেকে কোনওরকমে নিজেকে মুক্ত করে বন্ধুর সঙ্গে টোটোয় চেপে চলে আসেন ওই যুবতী।
  • Link to this news (বর্তমান)