সংবাদদাতা, কৃষ্ণনগর: ‘ডানা’র প্রভাব কাটিয়ে কৃষ্ণগঞ্জে শ্যামা আরাধনার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। লিখিতভাবে কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকায় ১২০টি কালীপুজো হয়। তবে এর বাইরেও শ’খানেক পুজো হয়। অধিকাংশ পুজোরই অনুমতি নেই। ‘ডানা’র প্রভাবে কালী পুজোর আগে ব্যাপক বৃষ্টি হওয়ায় ফুল, সব্জি চাষের জমিতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় বিড়ম্বনা রয়েছে। পুজো উদ্যোক্তাদেরও সমস্যায় পড়তে হয়। ডানার প্রভাব কেটে রোদ উঠতেই সেই সমস্যা মেটে। কৃষ্ণগঞ্জের পুজো কমিটির কর্তারা শক্তির আরাধনার জন্য প্রস্তুত।
কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের মাজদিয়া বাজার এলাকায় বড় পুজো করে অ্যামিউজ ক্লাব। এবার তাদের পুজো ৫০ বছরে পড়েছে। পুজো কমিটির কর্তা সুব্রত সাহা বলেন, আমাদের পুজো হয় বৈষ্ণব মতে। নিষ্ঠার সঙ্গে আমরা পুজো করি। পুজো দেখতে এখানে বহু মানুষ ভিড় করেন।
কৃষ্ণগঞ্জের দুর্গাপুর কাছারি পাড়ার শিশু সঙ্ঘ ক্লাবের পুজোও এবার নজর কাড়তে চলেছে। গত ১৬ বছর ধরে কৃষ্ণগঞ্জ বাজার পুজো কমিটির পরিচালনায় দক্ষিণারূপী কালীর পুজো হচ্ছে। এখানে এবারও প্যান্ডেলে চমক রয়েছে। একটি মন্দিরের আদলে মণ্ডপ হচ্ছে। পুজো কমিটির কর্তা অর্কপ্রভ ঘোষ বলেন, আমাদের পুজো দেখতে বিভিন্ন জায়গা থেকে দর্শনার্থীরা আসে।
সীমান্ত লাগোয়া গেদে বানপুর এলাকায় গোটা দশেক কালীপুজো হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য উত্তরপাড়া সর্বজনীন শ্যামাপুজো কমিটির পুজো। এবার তাদের পুজো ৭১ বছরে পড়েছে। এখানেও প্রতিমা শ্যামারূপী। পুজো বৈষ্ণব মতে হয়।
গেদে তামালতলা বারোয়ারিপল্লি উন্নয়ন সমিতির পুজো এবার ৬৬ বছরে পড়েছে। এখানেও শ্যামাকালীর পুজো হয়। প্যান্ডেলে চমক রয়েছে। মেঠো ঘরের আদলে মণ্ডপ করা হয়েছে। পুজো কমিটির কর্তা রাকেশ বিশ্বাস বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের এই পুজো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করে। পুজো ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উন্মাদনা দেখা যায় আনন্দে মাতে মানুষজন। - নিজস্ব চিত্র