সংবাদদাতা, বেলদা: দুর্গাপূজার পর বেলদায় জমে উঠেছে কালীপূজা। বেলদা গান্ধী মূর্তির পাদদেশে উদিত সংঘের পরিচালনায় এবারের পুজো পড়েছে ৫৯তম বর্ষে। এবারের এই পুজোর প্যান্ডেলের থিম বন্যপ্রাণ বাঁচাও। সবুজ রঙের প্যান্ডেলে ভারতের জাতীয় পাখি ময়ূরকে সামনে রেখে তৈরি করা হয়েছে মন্ডপ। প্রতিবছর এই পুজো কমিটির পক্ষ থেকে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান টানা কয়েকদিন ধরে চলতে থাকে। এর পাশাপাশি বেলদাতে সোশ্যালিজম ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এবারের পুজো ১৩ বছরে পড়ল। এদের এবারের মন্ডপ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের আদলে। পুজোর কয়েকদিন আকর্ষণীয় করে তুলতে রয়েছে বহিরাগত নানা শিল্পী সমন্বয়ে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। পুজো কমিটির মুখ্য উপদেষ্টা নারায়ণগড়ের বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট বলেন, দুষ্টের দমন করতে মায়ের আবির্ভাব। মায়ের কাছে প্রার্থনা করি এবারেও আমাদের জীবন থেকে সমস্ত গ্লানি কেটে যাক এবং ভালো সময়ের আগমন ঘটুক। মানুষ উৎসবে আনন্দে মেতে থাকুক। বেলদা কালী মন্দির সংলগ্ন শ্মশানের সামনে প্রতিবছরের মতো এবছর ও জমে উঠেছে শ্মশানকালীর পুজো। প্রায় ৩০ ফুট উঁচু শ্মশানকালীর মূর্তিকে ঘিরে থাকে উন্মাদনা। দু’দিন ধরে মন্ডপ প্রাঙ্গণে চলে জীবন্ত বারোয়ারি ও জ্যান্ত ভূতের প্রদর্শনী। এছাড়াও বেলদাতে রয়েছে জাগ্রত সংঘ, বারোয়ারিতলা ও ধর্মশালার সাবেকি কালী মায়ের পুজো। দীপাবলি উপলক্ষ্যে বুধবার বেলদা গৌরাঙ্গ রাইস মিলে আয়োজন করা হয় ফানুস উৎসবের। শব্দবাজি থেকে বিরত থাকতে সাধারণ মানুষকে আলোর উৎসবে যোগ দিতে আহ্বান জানানো হয় উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে। বেলদাতে চারুলতা নামে একটি পড়ুয়াদের সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি আদিবাসী গ্রামে ৬৫টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় মোমবাতি ও মাটির প্রদীপ। বেলদার পাশাপাশি দাঁতন, কেশিয়াড়ি, নারায়ণগড় ও মোহনপুরে রয়েছে একাধিক সর্বজনীন কালীপুজো। নারায়ণগড়ের গনুয়া প্রাচীন কালী মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে নানা জনশ্রুতি। পুজোর দিন ওই এলাকাতে সহস্রাধিক ছাগবলির আয়োজন থাকে। এ রাজ্যের পাশাপাশি ভিন রাজ্য থেকেও ভিড় জমান লক্ষাধিক পুণ্যার্থী।