নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: কেউ সাজল শাঁকচুন্নি, কেউ আবার ব্রহ্মদৈত্য সেজে ভয় দেখাল। মেছোভূতকে দেখে হাসি আর থামতেই চাইছিল না কচিকাঁচাদের। তবে এসবের বাইরে বেরিয়ে সিনেমার চরিত্রের অনুকরণেও ভূত সাজল কেউ কেউ। ‘ভূতের ভবিষ্যত’ ছবির ভুতোড়িয়া আর হাতকাটা কার্তিক চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিল কয়েকজন।
ওরা কেউ পঞ্চম, কেউ ষষ্ঠ কিংবা সপ্তম শ্রেণির ছাত্রছাত্রী। ভূত চতুর্দশীর রাতে জলপাইগুড়ির এসজেডিএ কম্পোজিট কমপ্লেক্সে আয়োজন করা হয়েছিল যেমন খুশি ভূত সাজো। হ্যালোউইন স্পেশাল অনুষ্ঠান। তাতেই শামিল হয় আরাধ্যা দেবনাথ, মৌতৃষা সাহা, অনুষ্কা বর্মন, কৌসুশী রায়, সমর্পণ সরকার। অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সায়নী চন্দ। বললেন, এমন অনুষ্ঠান এখানে প্রথম। ভূত চতুর্দশীর রাতে ছেলেমেয়েরা ভূত সেজে অভিনয় করেছে। বহু মানুষ ‘ভূতের নাচন’ দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন। আলো-আঁধারিতে ঘেরা গা ছমছমে পরিবেশে ভূতের গল্প বলার প্রতিযোগিতাও ছিল।
সেলুলয়েডে মঞ্জুলিকা আসছে। কিন্তু বিদ্যা বালনের ছবির চেয়েও এখন জলপাইগুড়িতে বেশি চর্চা কালীপুজোয় জ্যান্ত ভূতদের নিয়ে। গত কয়েক বছর ধরে দাপুটে ভূতেদের হাজির করে রীতিমতো মাস্টার ব্লাস্টার হয়ে ওঠা শহরের ভগৎ সিং কলোনির নামই হয়ে গিয়েছে ‘ভূতপাড়া’। কালীপুজোয় এবার তারা তৈরি করেছে অভিশপ্ত অট্টালিকা। তারই মধ্যে থাকবে প্রেত আত্মারা। দেখা যাবে স্বর্গ-নরক। ভগৎ সিং কলোনির পাশাপাশি জলপাইগুড়ি শহর ও লাগোয়া অঞ্চলে ইন্দিরা কলোনি, পাতকাটা কলোনি, শান্তিপাড়া, জামতলা এলাকা, পান্ডাপাড়া সহ অন্তত ১০-১২টি জায়গায় বুধবার রাত থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে ভূতের নাচন।