করুণাময়ী আদি কালীবাড়ির পুজোয় দেবীকে শোল ও বোয়ালের পদ
বর্তমান | ৩১ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ : এক পাঞ্জাবি সাধুবাবার হাত ধরে প্রায় ৫০০ বছর আগে শুরু হয়েছিল রায়গঞ্জের বন্দর করুণাময়ী আদি কালীবাড়ির কালী পুজো। আজও প্রথা মেনে হয়ে আসছে শতাব্দীপ্রাচীন পুজোটি। নিয়ম মেনে আজ, বৃহস্পতিবার পুজো হবে সেই কালীবাড়িতে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কালী পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম পুরনো বন্দর আদি কালীবাড়ির এই পুজো। কথিত আছে, ১৪৭০ সালে এক পাঞ্জাবী সাধুবাবার হাত ধরে কালীবাড়িতে পঞ্চমুণ্ডের আসন প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে সুপ্রসিদ্ধ সাধক বামাক্ষ্যাপার নির্দেশে অবিভক্ত বাংলার দিনাজপুরের মহারাজা জগদীশ রায়চৌধুরি ও তারকনাথ রায়চৌধুরি কালীবাড়িতে মূর্তি প্রতিষ্ঠিত করেন। সেই সময় থেকে রীতি মেনে তান্ত্রিক মতে পুজো হয় এখানে। এখনও কালীবাড়ির কালীপুজো শুরু হয় শিয়ালের ডাকে। মায়ের কাছে ভোগ হিসেবে অর্পিত হয় শোল ও বোয়াল মাছের রকমারি পদ। শহরের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক লক্ষ্মণচন্দ্র সাহা বলেন, পাঁচশো বছরেরও বেশি সময় ধরে কালীবাড়ির পুজো হয়ে আসছে। এখনও এই পুজোয় সমস্ত রীতিনীতি মানা হয়। কালী পুজোর দিন হয় পাঁঠা বলিও। মন্দিরের প্রাক্তন পুরোহিতের স্ত্রী রিয়া চট্টোপাধ্যায় বলেন, পরিবারের সদস্যদের থেকে শুনেছি সাধারণ ভক্ত ছাড়াও, অনেক বছর আগে ডাকাতরা ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে এই কালীবাড়িতে বিশেষ পূজার্চনা করে যেত। মায়ের মূর্তি বেনারস থেকে আনা কষ্টি পাথরের তৈরি। কালীপুজোর পরের দিন মায়ের ভোগ বিলি হয়।