শ্মশানে কাপালিকের কালীমন্দির, ভিড় জমান ভিন রাজ্যের মানুষও
বর্তমান | ৩১ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: গঙ্গাসাগরে আসা ভিন রাজ্যের পুণ্যার্থীদের কাছেও এখন তীর্থস্থান হয়ে উঠেছে কাকদ্বীপের শ্মশানকালী মন্দির। কালী পুজোর দিন প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। এখন ১০০ বছরেরও প্রাচীন মন্দিরটি ভক্তিরসে ভেসে যাচ্ছে। হাজার পাঁচেক ভক্ত ডালা দিয়ে পুজো দিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত সহ ভিন রাজ্য এবং সাগর, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ ও কুলপির প্রচুর মানুষ পুজোর দিন মন্দিরে রাত জাগেন। রাতভর চলে দণ্ডিকাটা, ধুনুচি, যজ্ঞ ও পূজার্চনা। এলাকার মানুষের বিশ্বাস, এই শ্মশানকালী অত্যন্ত জাগ্রত। ১৯২৪ সালে সুন্দরবনের কাকদ্বীপ অঞ্চলে বাইরে থেকে এসেছিলেন এক কাপালিক। এই শ্মশানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। শ্মশানের একটি বটগাছের নীচে থাকতেন। পাশে তালপাতার একটি ঘর বানান তিনি। একটি মাটির কালীপ্রতিমা তৈরি করে শুরু করেন পুজো। এই কালী ধীরে ধীরে এলাকাবাসীর মনে ভক্তি উদ্রেক করে। অনেক পরে মন্দিরটির উপর টালি চাপে। প্রায় ২৬ বছর আগে এলাকার মানুষদের উদ্যোগে কংক্রিটের একটি সুদৃশ্য মন্দির বানানো হয়েছে। মন্দির পরিচালন কমিটির সম্পাদক দেবপ্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, ‘কালীপুজোর তিনদিন আগে মাকে স্নান করানো হয়। এরপর পোশাক পরিবর্তন পর্ব। পুজোর আগের দিন ঠাকুর দর্শনের জন্য খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দরজা। বছরের এই তিনদিন ঘটপুজো হয়। অমাবস্যার রাতে নতুন করে ঘট তুলে মন্দিরে প্রতিমা পুজো। সারারাত ধরে বহু ভক্ত মন্দিরে জেগে থাকেন। পরের দিন সকালবেলা এক কুইন্টালেরও বেশি গোবিন্দভোগ চালের পরমান্ন তৈরি করে বিতরণ করার রীতি।’ নিজস্ব চিত্র