• ‘‌দফা এক দাবি এক অযোগ্য, অপদার্থ সভাপতির পদত্যাগ’‌, বিজেপি কার্যালয়ে পোস্টার‌
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • আজ কালীপুজো। আর তা নিয়ে মেতে উঠেছেন বাংলার মানুষজন। কিন্তু আগামী ১৩ নভেম্বর বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। এই আবহে বর্ধমানে নতুন ঘটনা দেখা গেল। বিজেপির অন্দরের গোষ্ঠী কোন্দল এবার প্রকাশ্যে চলে এল। সুতরাং উপনির্বাচনের আবহে বেআব্রু হয়ে গেল সংগঠনের অবস্থা। এখানে আদি বিজেপির পক্ষ থেকে নব্য নেতার বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। তাও আবার একেবারে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে। বুধবার এই পোস্টার পড়ে। তবে বিষয়টি নিয়ে আজকে কালীপুজোর দিন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    সদ্য বাংলা থেকে ঘুরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এখানে এসে তিনি বার্তা দিয়ে গিয়েছেন, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তন আনলে অনুপ্রবেশ তিনি রুখে দেবেন। কিন্তু সংগঠনের বাস্তবিক যা চিত্র তাতে এই স্বপ্নও অধরা থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বর্ধমানের ঘোড়দৌড় চটির বিজেপি জেলা পার্টি অফিসে পড়েছে বিতর্কিত পোস্টারটি। সেই পোস্টারে লেখা আছে, ‘দফা এক দাবি এক অযোগ্য, অপদার্থ সভাপতির পদত্যাগ।’ জেলায় বিজেপির সভাপতি নিয়ে এমন হাল হলে তাতে সাফল্য আসে না। এটাই দেখা গিয়েছে বারবার।

    এই বর্ধমানে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। তারপরও সংগঠন গুছিয়ে উঠতে পারেনি বিজেপি। বর্ধমানে বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা। তাঁকে নিয়ে নানা সমস্যা রয়েছে দলের অন্দরে। তাই তাঁর পদত্যাগ নিয়ে এরকম পোস্টার পড়েছে বলে সূত্রের খবর। অভিজিৎবাবুকে নিয়ে আগেও বারবার পোস্টার পড়েছে বর্ধমান শহরে। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্ব কোনও পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ। এবার একেবারে উপনির্বাচনের আবহে জেলা বিজেপির কার্যালয়ে এমন পোস্টার বিতর্ক তৈরি করেছে।

    উৎসবের মরশুমেও পদ্মপার্টির এমন প্রকাশ্য কোন্দল থেকে হাসছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। এই পোস্টারের ঘটনা নিয়ে বিজেপির মুখপাত্র শান্তরূপ দে’‌র অভিযোগ, ‘‌তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে। বিজেপির সঙ্গে তাঁরা পেরে উঠছে না। তাই আমাদের জেলা সভাপতির নামে এভাবে কুৎসা রটিয়ে দিয়ে দলকে হেও করার চেষ্টা করছে।’‌ কিন্তু পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। এই জেলার তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের বক্তব্য, ‘‌বিজেপির মধ্যে আদি–নব্য গোষ্ঠীর কোন্দল চরমে উঠেছে। এটাই তার প্রমাণ। কখনও পার্টি অফিস ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করার ঘটনা ঘটেছে। তারপর সামলাতে না পেরে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)