পথঘাট প্লাবিত, রেললাইন ধরে গ্রামে ফিরছিলেন, দিঘা–পাঁশকুড়া লাইনে তিনজনের মৃত্যু
হিন্দুস্তান টাইমস | ৩১ অক্টোবর ২০২৪
আজ কালীপুজো। কিন্তু তার আগের রাতেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। আর তার জেরে উৎসবের মধ্যেই নেমে এল শোকের ছায়া। একসঙ্গে তিনজনের মৃত্যু হল। যাঁরা ভেবেছিলেন রোজগার করা অর্থ দিয়ে পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাবেন। কিন্তু সেটা আর বাস্তবায়িত হল না। কারণ শিলাবতী নদীর জলে পথঘাট প্লাবিত ছিল। তাই রাস্তা ছেড়ে তাঁরা রেললাইন ধরে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু তাঁদের বাড়ি ফেরা হল না। কারণ ট্রেনের ধাক্কায় একসঙ্গে মৃত্যু হল তিনজনের। কালীপুজোর আগের রাতেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়।
ওঁরা ফল বিক্রেতা। তাই ফল বিক্রি করে যে অর্থ তাঁরা রোজগার করেছিলেন তা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। কালীপুজোয় সবাই মিলে আনন্দ করবেন বলে। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ক্লান্ত দেহে রেল লাইনের পাশ দিয়ে ফিরছিলেন তাঁরা। কিন্তু তখনই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। আর তাতেই মৃত্যু হল তিনজনের। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার রঘুনাথবাড়ি এলাকায় বুধবার রাতে রঘুনাথবাড়ি স্টেশনের কাছে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল তিনজনের। আর তাই পরিবার নিয়ে আনন্দ করা হল না। বরং আজ বৃহস্পতিবার কালীপুজোর দিন এই তিন পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃত এই তিনজনই পেশায় ফল বিক্রেতা। তাঁদের বাড়ি পাঁশকুড়ায়। ফল বিক্রি করার জন্য হলদিয়ায় গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে বেচাকেনা করে রাতে তাঁরা ট্রেন থেকে নামেন পাঁশকুড়ার রঘুনাথবাড়ি স্টেশনে। কিন্তু বাড়ি ফিরতে চাপ তৈরি হল তাঁদের জীবনে। কারণ গত কয়েকদিন নাগাড়ে বৃষ্টিতে জল বেড়ে গিয়েছিল শিলাবতী নদীতে। প্লাবিত ঘাটাল, দাসপুর–সহ একাধিক এলাকা। রাস্তায় জল জমে গিয়েছে। ফলে বিকল্প পথেই গন্তব্যে পৌঁছতে হবে। এই কারণে রেললাইনকেই তাঁরা চলার পথ হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন।
আর তাই রেললাইন ধরে বাড়ির দিকে হাঁটছিলেন তিন ফলবিক্রেতা। কখন যে ট্রেন চলে এসেছে সেটা খেয়াল করেননি তাঁরা। ট্রেনের ধাক্কায় তাঁদের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। আর পাঁশকুড়া–দিঘা লাইনে রেললাইন পেরনোর সময় হলদিয়া লোকালে কাটা পড়ে মৃত্যু হয় তিনজনের। এঁদের মধ্যে একজন জয়দেব সাঁতরা । আর একজনের পরিচয় জানা যায়নি। তবে তা জানার চেষ্টা করছে রেল পুলিশ।