• থিমের ছোঁয়া দক্ষিণেশ্বরেও
    আনন্দবাজার | ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ১৭০ তম বর্ষের পুজোয় এবারে থিমের ছোঁয়া!

    বাংলার লোকসংস্কৃতির আবহে কালী পুজোর রাতে মুখরিত হবে ভবতারিণী মন্দির প্রাঙ্গণ। প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলাদের সঙ্ঘবদ্ধ ঢাকের বাদ্যি, ধুনুচি নাচ, প্রদীপ আরতি, শঙ্খ ও উলু ধ্বনিতে চলবে চার প্রহরের পুজো। দক্ষিণেশ্বরের ঐতিহ্যের পুজোয় এই প্রথম এমন অভিনবত্বের ছাপ রাখার পরিকল্পনা করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।

    দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের কার্যনির্বাহী অছি কুশল চৌধুরী বলেন, ‘‘বাংলার সংস্কৃতি ও মহিলাদের স্বনির্ভরতার ছবি তুলে ধরতে চেয়েছি এ বারের পুজোয়। এর পাশাপাশি পুরনো প্রথা মেনেই পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।’’ বাহারি আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির। আলোর মালায় ভাসা মন্দির চত্বরে বসেই সারা রাত ধরে পুজো দেখার সুযোগ পাবেন ভক্ত ও দর্শনার্থীরা। থাকছে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থাও। তার মাধ্যমেই গোটা দেশের সামনে বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরার প্রয়াস বলেই জানাচ্ছেন কুশল।

    জানা যাচ্ছে, এই প্রথম, পুজোর সময়ে মূল মন্দিরের সামনের প্রাঙ্গণে ৫৬ জন মহিলা ঢাক বাজাবেন। আজ, বৃহস্পতিবার ভোরে মঙ্গলারতি দিয়ে শুরু হবে ১৭০ তম বর্ষের পুজো। নিত্য পুজোর পাশাপাশি রাতে হবে বিশেষ পুজো। প্রথা মেনে রাতে গঙ্গায় বান চলে যাওয়ার পরে পুজোর ঘটে জল ভরা হবে। সেই জন্য চাঁদনি ঘাটে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, জল পুলিশের বিশেষ দল নিরাপত্তার অর্ধাচন্দ্রকৃতি বলয় তৈরি করবেন। থাকবে জোরালো আলোর বন্দোবস্ত। ঘটে জল ভরার পরে আর কাউকে গঙ্গার ঘাটে যেতে দেওয়া হবে না।

    ঘট মূল মন্দিরে আনার পরে চার প্রহরে ষোড়শপচারে শুরু হবে ভবতারিণী পুজো। অন্ন, পাঁচ রকমের আনাজ ভাজা, পাঁচ রকমের মাছ, পাঁচ রকমের মিষ্টি, দই, পায়েস সহযোগে ভোগ নিবেদন করা হবে। মন্দির সূত্রের খবর, কথামৃতের বর্ণনা অনুযায়ী সাবেক সোনার গয়নায় সাজানো হবে ভবতারিণীকে। সাবেকি ধাঁচে পরানো হবে বেনারসি শাড়ি। আজ ভোর ৫টায় খুলে দেওয়া হবে মন্দিরের সিংহদুয়ার। সারা রাত তা খোলা থাকবে।

    পুজোকে কেন্দ্র করে অসংখ্য ভক্ত ও দর্শনার্থীর সমাগমে যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা সামলাতে কড়া নিরাপত্তার আয়োজন করেছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। শীর্ষ কর্তারা আগেই মূল মন্দির চত্বর সহ সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। থাকছে তিনটি নজরদারি টাওয়ার, প্রায় ৪০টি সিসি ক্যামেরার নজরদারি, উর্দিধারী দুশো পুলিশ। থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ, বম্ব স্কোয়াড ও বিশেষ পুলিশ বাহিনী।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)