এমনই অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করে আদালতে তুলেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিস। ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ ২০১২ সাল নাগাদ জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের বৌল বাড়ি এলাকায় থাকা একটি মেয়েকে স্কুলে যাতায়াতের সময় রোজ উত্যক্ত করে কু-প্রস্তাব দিত ময়নাগুড়ি ব্লকের চাতরার পার গ্রামের বাসিন্দা তাপস সরকার নামে এক যুবক।
এই নিয়ে ওই সময় স্থানীয় ভাবে সালিশি করার চেষ্টা করেছিল মেয়েটির পরিবার। পরে ২০২২ সালে মেয়ের ১৮ বছর বয়স হলে তাঁকে বিয়ে দিয়ে দেয়। বিয়ের পর শুরু হয় ফেসবুকে ছবি ভাইরাল করা। এরপর এই নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে অশান্তি হলে মেয়েটি বাপের বাড়ি চলে আসে। পরে তার শ্বশুর বাড়ি গ্রহন না করলে মেয়েটি বাপের বাড়িতে থেকে যায়। এরপর সম্প্রতি ৬ মাস আগে মেয়েটির অন্যত্র বিয়ে হয়।
মা রীনা সরকার বিশ্বাস জানিয়েছে, স্কুলে যাতায়াতের সময় থেকেই আমার মেয়েকে তাপস সরকার উত্যক্ত করত। পরে ১৮ বছর হলে মেয়েকে বিয়ে দিই। এরপর তাপস আমার মেয়ের অশ্লীল ছবি ফেসবুকে ছাড়তে থাকে। মেয়ের বিয়ে ভেঙে যায়। এরপর ৬ মাস আগে মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দিই। আবার ওই ছেলেটি নতুন করে আমার মেয়ের অশ্লীল ছবি ভাইরাল করে দিচ্ছে। লজ্জায়,অপমানে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। গ্রেফতার হয়েছে। উপযুক্ত শাস্তি চাই।
স্বামী অভিজিৎ সরকার বলেন, শুধু আমার স্ত্রীর অশ্লীল ছবি নয়। আমার ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম থেকে আমার অবিবাহিত বোন-সহ বাড়ির অন্যান্য মেয়েদের ছবি সংগ্রহ করে সেই ছবিতে বিভিন্ন অশ্লীল মন্তব্য লিখে ফের ফেসবুকে ভাইরাল করে দিচ্ছে। এই বিষয়ে আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। ময়নাগুড়ি থানার পুলিস সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।