ভোরবেলায় মাকে স্নান করিয়ে পড়ানো হয়েছে বেনারসী শাড়ী। মাথায় মুকুট, কপালে টিপ, অঙ্গে একাধিক অলংকার পায়ের নুপুর, অপরূপ রূপে ভূষিত হয়েছেন মা। সকাল থেকেই ভক্তদের ভিড় মন্দিরে। মন্ত্র উচ্চারণ করে অজ্ঞলি দিয়ে পুজো দেবার পাশাপাশি প্রদীপ ,ধূপ জ্বেলে মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবদনে জড়ো হয়েছে আট থেকে আশি সবাই। আজকের দিনে ভীষণ কালীর মূর্তির রূপ যেন স্নিগ্ধতায় ভোরে দিয়েছে চারিদিক।
আজ কালী পুজোর দিন মালিক বাড়ির আনা গঙ্গা জল ঢালা হয় মায়ের ঘটে। বছরে একবারই পাল্টানো হয় মায়ের ঘটের জল। বংশ পরম্পরায় স্থানীয় মালিক বাড়ির সদস্যরা এই জল এনে থাকেন প্রত্যেক বছর। আজ সকালেই মাকে ফল, মিষ্টি,লুচির সাথে চালকড়াই ভাজা নিবেদন করা হয়েছে।অমবস্যার তিথি ধরে চার প্রহরে বিশেষ পুজো হয় ডাকাত কালী মায়ের।
সিঙ্গুর ডাকাত কালীমন্দির উন্নয়ন কমিটির সম্পাদক মদনমোহন কোলে জানান, ডাকাত কালী মা পূজিত হন বলে পুরুষোত্তমপুর, মল্লিকপুর ও জামিন বেড়িয়া এই তিনটি গ্রামে হয় না আর কোন কালীপুজো, বাড়িতে রাখা যায় না অন্য কোন কালীমায়ের ছবি। বাড়ির যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানের পূর্বে মায়ের কাছে আগে পূজো নিবেদন করেন এলাকার সমস্ত মানুষ। আগামীকাল সূর্য্যস্তের পর একটি ছাগ বলি হয়ে মন্দির বন্ধ হয়। তার পরের দিন আবার মন্দিরের দরজা খোলা হয়।।
স্থানীয় মল্লিকপুর গ্ৰামের সদস্য সঞ্জীব মালিক জানান, আমাদের সাত পুরুষ ধরে গঙ্গা জল মায়ের মন্দিরে আনা হয়। সেই জল দিয়েই মায়ের ঘটের জল পাল্টানো হয়। বর্তমানে আমি সেই এনে দিই। হয়তো বা আমাদের বংশের পূর্ব পুরুষরা ডাকাত বা লেঠেল বাহিনী ছিল। তাদের ই কেউ জল আনতো। এটা বংশ পরম্পরায় হয়ে আসছে।