বীরভূমের সতীপিঠগুলির মধ্যে অন্যতম পীঠস্থান কঙ্কালীতলা। কথিত, এই স্থানে মায়ের কঙ্কাল পড়েছিল সেই থেকে এই স্থান কঙ্কালীতলা নামে পরিচিত। চৈত্র সংক্রান্তির দিন প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে এখানে কঙ্কালীদেবীর বাৎসরিক পুজো হয়ে থাকে। এমনিতে প্রতিদিনই দেবীর পুজোর ব্যবস্থা রয়েছে।
সারা বছরই এই পীঠস্থানে ভক্তদের আনাগোনা লেগে থাকে। প্রতিবছর কৃষ্ণা বা কার্তিক অমাবস্যা তিথিতে এখানে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়।। ভক্তরা বিশ্বাস করেন, এই দিনে কিছু মানত করলে মনস্কামনা পূর্ণ হয়, সেই কারণে প্রতিবছর কালীপুজোর দিন কঙ্কালীতলাতে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়।শুধু মাত্র বীরভূম জেলার মানুষরাই নয় দুর দুরন্তের মানুষরাও ছুটে আসেন এই মন্দিরে।
অন্যবছর এই দিনে কঙ্কালীতলায় হাজার হাজার মানুষের সমাগম হলেও, এবার মন্দিরে সকাল থেকে তেমন মানুষের ভিড় নেই তবে বেলা বাড়লেই ভিড় অনেক বেশি বাড়বে বলেই অনুমান মন্দির কমিটির কালীপুজো উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই শুরু হয় বিশেষ পুজো, আরতি হোম যজ্ঞ।
পুজোর দিন এখানে নিরামিষ ভোগ নিবেদনের রীতি রয়েছে। সেই রীতি মেনে এ দিন মধ্যাহ্নে পুষ্পান্ন, ডাল পাঁচ রকমের ভাজা, ফুলকপির তরকারি, পাঁচমিশালী টক ও পায়েস ভোগ নিবেদন করা হয়। সন্ধ্যারতি ও মন্দিরের পাশে থাকা কুন্ডে বিশেষ যজ্ঞের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কঙ্কালীতলা মন্দিরের সেবাইতরা জানান, আজ কালী পূজার দিন মহাকালী রূপে পূজিত হন মা কঙ্কালী।