অটোয় চেপে নজরদারি, বিশেষ ওয়াচ টাওয়ার, বেআইনি শব্দবাজি ও আতসবাজি রুখতে কড়া পুলিশ
প্রতিদিন | ৩১ অক্টোবর ২০২৪
অর্ণব আইচ: চলছে টানা নজরদারি। বেআইনি শব্দবাজি ও আতসবাজি রুখতে কড়া পুলিশ। আজ সন্ধ্যার পর থেকে বাইক, এমনকী, অটোয় করেও অলিগলিতে নজর থাকছে পুলিশের। কলকাতায় বহুতলের ছাদে তৈরি হয়েছে ওয়াচটাওয়ার। ছাদ থেকে নাইট ভিশন বাইনোকুলারে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশের একাধিক টিম। যদিও এবার নজরদারির সঙ্গে সঙ্গে সচেতনতার প্রচারের উপরও জোর দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। বুধবার বেহালা অঞ্চলের বেশ কয়েকটি স্কুলের পড়ুয়াদের ওই অঞ্চলের বিবেকানন্দ কলেজের সেমিনার হলে ক্লাস নেয় পুলিশ। ডিসি (এসডব্লুডি) রাহুল দে তাঁদের বোঝান যে, কেন বেআইনি আতসবাজি ও শব্দবাজি ফাটানো উচিৎ নয়। ওই বাজি কেন ক্ষতিকারক। পড়ুয়ারা যাতে নিজেরা এই ধরনের বাজি না কেনে বা ফাটায় ও অন্যদেরও এই কাজ করতে বারণ করে, সেই ব্যাপারেই তাঁদের সচেতন করা হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন আবাসনে গিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে নিষিদ্ধ বাজি যাতে কেউ না ফাটান, সেই ব্যাপারে পুলিশ আধিকারিকরা সচেতনতার প্রচার চালান।
লালবাজারের সূত্র জানিয়েছে, কালীপুজো ও দীপাবলিতে সন্ধ্যা থেকে সীমিত সময়ের জন্য শুধু সবুজ বাজি ফাটানো যাবে। তার জন্য বহু আগে থেকেই আশপাশের অঞ্চল থেকে কলকাতার গোডাউনগুলিতে যাতে নিষিদ্ধ বাজি না প্রবেশ করতে পারে, সেদিকেই বিশেষ নজর রাখতে শুরু করে পুলিশ। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ছিল নাকা চেকিং। তাতেই দেখা যায়, প্রয়োজনীয় সামগ্রীর আড়ালে হচ্ছে নিষিদ্ধ বাজি পাচার। আবার সবুজ বাজির আড়ালেও নিষিদ্ধ আতসবাজি ও শব্দবাজি পাচারের চেষ্টারও প্রমাণ পায় পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে এখনও পর্যন্ত পুলিশ প্রায় ৩ হাজার ৯৩৫ কিলো নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেছে। এতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৩৫ জন। যদিও আরও কিছু বাজি শহরে প্রবেশ করেছে, এমন আশঙ্কাও রয়েছে। তাই শহরের কোনও ছোট দোকানে নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি হচ্ছে কি না, সেদিকেও নজর রয়েছে পুলিশের। পুলিশের এক কর্তা জানান, বাজি বিক্রেতার সঙ্গে ক্রেতাদের কাছ থেকে বাজি উদ্ধার হলে তাঁদেরও ধরা হতে পারে। প্রায় দেড়শোটি অটো করে অলিগলিতে টহল দিয়ে পুলিশ নজরদারি চালাবে বিভিন্ন পাড়া ও বহুতলের উপর। ইতিমধে্যই বিভিন্ন বহুতল আবাসনের কেয়ারটেকার ও কর্তৃপক্ষকে সতর্ক ও সচেতন করা হয়েছে। এ ছাড়াও সারা শহরজুড়ে রয়েছে পাঁচশোটি পুলিশ পিকেট। প্রায় ৬ হাজার পুলিশ আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে রাস্তায় নামছে। শহরবাসীকে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যদি কোথাও বাজির শব্দ শোনা যায়, তবে যেন ১০০ ডায়াল করে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকে জানানো হয়। টহলদারি গাড়ি, বাইক বা অটো সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে পৌঁছে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।