• অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতিতে কালীপুজো জাঁকজমক, প্রতিমা জুড়ে বিপুল পরিমাণ গয়না
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • আজ কালীপুজো। আর তা নিয়ে মেতে উঠেছেন বাংলার মানুষজন। কিন্তু এই আবহে উৎসবের মরশুমকে সবাই নানাভাবে পালন করছেন। আর এই উৎসবের মধ্যেই আজ, বৃহস্পতিবার অশৌচ পালন করছেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কারণ তাঁর কাকা মারা গিয়েছে। এই আবহে কালীপুজোর আনন্দ মনে থাকলেও তার বহিঃপ্রকাশ নেই। তাই বীরভূমের দলীয় কার্যালয়ে বসে কালীপুজোর বন্দোবস্ত দেখলেন কেষ্ট। আজ সাজা পাঞ্জাবি পরে দলীয় কার্যালয়ে হাজির হলেও প্রতিমার কাছে তিনি যাননি। দূর থেকেই প্রণাম করে প্রার্থনা করেছেন।

    একেবারে দু’‌বছর পর এভাবেই কালীপুজোয় অংশ নিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে এই বছর অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতিতে অনুগামীদের উৎসাহ চরম মাত্রা পেয়েছে। তাই কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে কালীপুজোকে ঘিরেই তুমুল ব্যস্ততা দেখা যায়। এদিন মহিলা সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ততায় চলে আলপনা আঁকার কাজ থেকে শুরু করে সাজানোর আড়ম্বর। দলীয় কার্যালয়ে ঢোকার মুখেই আলোকসজ্জার গেট তৈরি করা হয়েছে। যাতে দেখতে ভাল লাগে। এখানে উপস্থিত হয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘অশৌচ চলছে আমার। গঙ্গাস্নান করিনি। তাই কালীপুজোর কাজে অংশ নিচ্ছি না।’

    এদিন দলীয় কার্যালয়ের কালীপুজোয় সামিল হলেও কালীপ্রতিমাকে নিজের হাতে গয়না পরানো থেকে পুষ্পাঞ্জলি কিছুই করছেন না। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দলীয় কর্মীদের সেখানে আসার জন্য আবেদন করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। বোলপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে প্রত্যেক বছর ধুমধাম করে কালীপুজোর আয়োজন করতেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রতিমাকে নিজে বিপুল পরিমাণ গয়না পরাতেন। যা নিয়ে অনেকে আড়ালে নানা কথা বলতেন। তা নিয়ে আগে বিস্তর বিতর্কও হয়েছে। প্রায় ৫৭০ ভরি সোনার গয়না পরানোর বিষয়টি সকলেরই জানা। সেখানে অনুব্রত নিজেই বলেন, ‘‌গতবছর যা পরানো হয়েছিল তা এই বছরও পরানো হবে। যাঁরা আগের বছর গয়না পরিয়েছিলেন তাঁরাই এবার মাকে গয়না পরাবেন। তবে কী পরিমান গয়না ছিল আমি জানি না।’‌ এটাই এখনকার মন্তব্য।

    এছাড়া অনুব্রত মণ্ডল জামিন পেয়ে এখন বোলপুরে। তাই অনেকের অনেক আশা ছিল তাঁকে নিয়ে। কিন্তু সবটা সামনে থেকে দেখলেও নিশ্চুপ ছিলেন কেষ্ট। যা একেবারেই বেমানান। তবে এবার বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ের কালী প্রতিমার অঙ্গে উঠল একাধিক গয়না। মাথার মুকুট, নাকের নথ, আংটি, হার সবই পরানো হয়েছে। কিন্তু সেগুলি সোনার কিনা সেটা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ কেউই। গয়না নিয়ে কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে নারাজ অনুব্রতও। যদিও জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর কথায়, ‘‌গত বছরগুলির মত এবারও একই আয়োজন করা হচ্ছে কালীপুজোর। জেলার নানা প্রান্ত থেকে মানুষজন এখানে আসবেন। প্রসাদেরও বন্দোবস্ত থাকছে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)