কার্তিক মহারাজ তো সন্ন্যাসী, তাঁর আবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা লাগে কেন?
হিন্দুস্তান টাইমস | ৩১ অক্টোবর ২০২৪
যাদের বাগযুদ্ধে মাস কয়েক আগে তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজনীতি তাদেরই দেখা গেল এক মঞ্চে। বুধবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে একই মঞ্চে ছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজ ও ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুঁ কবির। মহারাজের সামনে হুমায়ুঁ কবির বলেন, যে কথা গুলো আমি বলেছি বলে অভিযোগ করা হচ্ছে প্রমাণ করতে পারলে জুতোর মালা পরব।
এদিন সাগরদিঘির তৃণমূল বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের আমন্ত্রণে একমঞ্চে হাজির হন হুমায়ুঁ ও কার্তিক মহারাজ। মহারাজের সামনে হুমায়ুঁ বলেন, ‘৩০ এপ্রিল ভোটের প্রচারে এসে যোগী আদিত্যনাথ কিছু কথা বলেছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমি বিজেপিকে আক্রমণ করে কিছু বলেছিলাম। সে সময় কার্তিক মহারাজ আমাকে আক্রমণ করে অভিযোগ করেছিলেন যে আমি নাকি গোটা হিন্দু সমাজকে কেটে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেব বলেছি। এটা প্রমাণ করে দেখাতে পারলে আমি জুতোর মালা নেব এবং যা শাস্তি দেবে মাথা পেতে নেব।’ গত লোকসভা ভোটের আগে হুমায়ুঁ কবিরের বিরুদ্ধে হিন্দুদের ২ ঘণ্টার মধ্যে ভাগিরথীতে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন। এর পরই শুরু হয় তুমুল বিতর্ক।
তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি ওনাকে শ্রদ্ধা করি। ওর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কও ভাল। রাজনৈতিক নেতাদের অনেক শত্রু থাকে কিন্তু সাধুদের তো কোনও শত্রু থাকে না। ধর্মগুরুর আবার সেন্ট্রাল ফোর্স কেন। তার তো কোনও শত্রু তো থাকার কথা নয়।’
তবে হুমায়ুঁর বক্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি কার্তিক মহারাজ। এই নিয়ে মন্তব্য করতে চায়নি তৃণমূলও।