• ‘‌বাড়ির টাকা যেন নয়ছয় না হয়, গরিব মানুষকে বাড়িটা দিন’‌, লাভপুরে বার্তা অনুব্রতর
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • আজ কালীপুজো। আর তা নিয়ে মেতে উঠেছেন বাংলার মানুষজন। কিন্তু এই আবহে উৎসবের মরশুমকে সবাই নানাভাবে পালন করবেন। এই আবহে আবাস যোজনার বাড়ি দেওয়ার বিষয় নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এমনকী দলের লোক দেখে বাড়ি উচিত নয় বলেও জানান কেষ্ট। যাতে এই বাড়ি যোগ্য প্রাপক গরিব মানুষই পায় সেটা দেখার জন্য বার্তা দেন তিনি। বিজয়া সম্মিলনির মঞ্চ থেকে দলের কর্মীদের উদ্দেশে এই বার্তা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। আহমদপুর ও লাভপুরের সভা থেকে অনুব্রত মণ্ডল আবাস প্রকল্প নিয়ে পক্ষপাতিত্ব না করার নিদান দিলেন।

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের কদিন আগে। তখন তাঁকে আগামী দিন কেমন করে চলতে হবে বাতলে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো বলে সূত্রের খবর। তারপর থেকেই আরও পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে কেষ্টর ভাষা এবং কাজে। সবাইকে নিয়ে চলার কথা বলছেন। নিজেকে সামান্য মানুষ বলছেন এবং রাজনীতি বা জেলা সভাপতির পদ ছাড়ার কথাও বলেছেন। এখন প্রত্যেক জেলায় সমীক্ষা চলছে আবাস যোজনার। এই কাজ করছে রাজ্য সরকার। এমন আবহে এক অচেনা কেষ্টকে দেখল জেলাবাসী।

    কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে বঞ্চনা করছে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের অভিযোগ। একশো দিনের কাজ থেকে শুরু করে আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার বলে অভিযোগ তাঁদের। তাই রাজ্য সরকার কথা অনুযায়ী আগামী ৩১ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেবে বলেই সমীক্ষার কাজ চলছে। তাই কর্মীদের উদ্দেশে অনুব্রত বার্তা দিলেন, ‘‌হানাহানি বন্ধ করে একসঙ্গে হাতে হাত রেখে চলতে হবে। শুধুমাত্র যোগ্য ব্যক্তিরাই যেন বাড়ি পান সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে। বাড়ির টাকা যেন নয়ছয় না হয়। গরিব মানুষকে বাড়িটা দিন। তাতেই ভাল হবে।’‌

    এরপরই শোনা যায় কেষ্টর সেই হৃদয়স্পর্শী বক্তব্য। যা শুনে অনেকেই কিছুক্ষণ হতবাক হয়ে যান। আগের অনুব্রতর সঙ্গে এখনকার অনুব্রতকে মেলাতে পারছেন না অনেকে। তবে এমন কেষ্টকেই তো মানুষ চেয়েছিলেন। যিনি গরিবের কাছের মানুষ, নিকটজন হয়ে থাকবেন। একটা সময় তেমন ছিলেনও কেষ্ট। মাঝে একটু কড়া হয়ে পড়েন। এবার লাভপুরের মঞ্চ থেকে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‌আমার একটা পাকা বাড়ি আছে। আমাকে বাড়ি দেবেন না। সরকারি কর্মীরা সার্ভে করছেন। যাঁরা যোগ্য তাঁরাই বাড়ি পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী টাকা দেবেন।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)