• কলকাতা পুলিশের ওসির বিরুদ্ধে ধরনায় বসলেন মহিলা এসআই, নাদিয়াল থানা তোলপাড়
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • আজ কালীপুজো। আর তা নিয়ে মেতে উঠেছেন বাংলার মানুষজন। কিন্তু এই আবহে উৎসবের মরশুমকে সবাই নানাভাবে পালন করবেন। উৎসবের মধ্যে নাদিয়াল থানার সামনে ধরনায় বসলেন খোদ মহিলা এসআই। ওসির বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছেন মহিলা এসআই। ব্যারাকের ঘর নিয়ে ওসির সঙ্গে এসআইয়ের তুমুল গন্ডগোল হয়েছে। ওই এসআই ঘর ছাড়েননি বলে নাদিয়াল থানা সূত্রে খবর। নির্দেশ অমান্য করার জেরে সোমা তরফদার নামে মহিলা এসআই–কে ক্লোজ করা হয়। অথচ মহিলা এসআই অভিযোগ করেন, ছুটিতে গেলে ব্যারাকের ঘর দখল হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে ছুটি থেকে ফিরে একেবারে থানার সামনে ধরনায় বসেছেন ওই মহিলা এসআই।

    এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় নাদিয়াল থানায়। ওই মহিলা এসআই সোমা তরফদারের দাবি, তিনি ছুটি কাটিয়ে যখন ব্যারাকে ফিরে আসেন তখন দেখেন তাঁর ঘরে আরও কয়েকটি বেড রাখা আছে। ওসির সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। তার পর থেকেই ধরনায় বসে পড়েন ওই মহিলা এসআই ‌। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশের গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বিক্ষোভরত মহিলা এসআই–কে। এই ঘটনার কথা মহিলা এসআই সোমা তরফদার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইমেল করে জানিয়েছেন।

    এখানেই শেষ নয়, এসআই হেড কোয়ার্টার, কলকাতার পুলিশ কমিশনার, ডিসি পোর্ট এবং অন্যান্য বিভাগীয় অফিসারদের ইমেল করে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন। ওসি ভাবতে পারেননি এমন বিপদে পড়তে হবে। আগাম আঁচ করতে পারলে হয়তো না জানিয়ে ব্যারাকের ঘর বদল করতেন না। ওই মহিলা পুলিশকর্মী এতদিন ব্যারাকে একাই থাকতেন। কিন্তু এখন থানায় নতুন কয়েকজন মহিলা পুলিশকর্মী নাদিয়াল থানায় এসেছেন। তাঁদের জন্যও ব্যারাকে বেড বরাদ্দ করা হয়। এই ঘটনায় ওই মহিলা এসআই যে ঘরে থাকতেন সেখানে নতুন মহিলা পুলিশকর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। তাতে আপত্তি জানান ওই মহিলা এসআই। কিন্তু তাতে ওসি গুরুত্ব না দেওয়ায় বিষয়টি এত দূর গড়ায়।

    এছাড়া দু’‌পক্ষের মধ্যে এই সমস্যা নিয়ে মনোমালিন্য চরমে পৌঁছয়। ওসি তখন ওই মহিলা এসআই সোমা তরফদারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। ঘর কেড়ে নিয়ে ক্লোজ করে দেওয়ায় ওই মহিলা এসআই আজ ধরনায় বসে পড়েন। নাদিয়াল থানার সামনে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় চাপে পড়ে যান ওসি। এই ঘটনা নিয়ে সোমা তরফদার বলেন, ‘‌নাদিয়াল থানায় দেড় বছর এসেছি। আমি নাদিয়াল থানার সমস্ত ভিতরের খবর জানি। তাই ওসি আমার সঙ্গে শত্রুতা করছেন। আমাকে নানা দোষ দিচ্ছেন। আমাকে ইমেইল করে বলছে, আপনার কাগজ এসেছে, আমাকে ক্লোজ করা হচ্ছে। আমাকে কী কারণে ক্লোজ করা হল সেটা ওসি সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায়, এএসআই মনসুর আলম, কনস্টেবল খন্দকর আলমকে জবাব দিতে হবে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)