• জোড়াবাগানে এলআইসি এজেন্টকে কুপিয়ে খুন, কালীপুজোর দিন রক্তারক্তি শহরে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • আজ কালীপুজো। আর তা নিয়ে মেতে উঠেছেন বাংলার মানুষজন। কিন্তু এই আবহে উৎসবের মরশুমকে সবাই নানাভাবে পালন করবেন। এই আবহে খাস কলকাতার জোড়াবাগানে খুনের ঘটনা ঘটে গেল। আজ কালীপুজোর দিন নিজের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রৌঢ়ের রক্তাক্ত দেহ। রক্তে ভেসে গিয়েছে ঘরের মেঝে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। ওই প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। এই খুনের নেপথ্যে কারা? গোটা ঘটনা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    এদিকে ওই রক্তাক্ত প্রৌঢ়ের নাম অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় । উৎসবের শহরে বিস্তর চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। অভিজিৎবাবু উত্তর কলকাতার জোরাবাগান থানা এলাকার সেন লেনের বাসিন্দা। পেশায় এলআইসি এজেন্ট অভিজিৎবাবু পাঁচতলা বাড়ির একাংশে একাই থাকতেন। বাড়ির নীচে তাঁর দিদি থাকতেন। রোজ দিদির ঘর থেকে চা যেত অভিজিৎবাবুর কাছে। আজও তা যায়। কিন্তু অনেক হাঁকডাক করা হলেও আজ আর ঘরের দরজা খোলেননি অভিজিৎবাবু। তখন ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে উঁকি মারতেই দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেয় পড়ে আছেন অভিজিৎবাবু।

    অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, অভিজিৎবাবুর একটি গাড়ি আছে। সেই গাড়ি ভাড়ায় খাটাতেন। আজ সকালে গাড়ি ভাড়া ছিল। তাই ১০০০ টাকা অগ্রিমও নেন অভিজিৎ বাবু। চালক পাপাই তাই গাড়ির চাবি নিতে এসেছিলেন। গাড়ির চালকও বাড়ি এসে দরজায় কড়া নেড়ে কোনও সাড়া পাননি। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। তখন তিনি প্রতিবেশীদের জানান। প্রতিবেশী প্রমোদ গুপ্তা পিছন দিক থেকে ঘুরে ছাদের দিকে দরজা ঠেলতেই তা খুলে যায়। আর তখনই দেখা যায়, উপুড় হয়ে অভিজিৎবাবু পড়ে আছেন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দিলে সেখানে আসেন লালবাজার থেকে হোমিসাইড শাখার অফিসাররা এবং ডগ স্কোয়াড। ঘটনাস্থলে পৌঁছন ডিসি নর্থ দীপক সরকার। বাড়ির দরজা বন্ধ থাকার পরও আততায়ী ঘরে ঢুকল কী করে? তাহলে কি পরিচিত কেউ এই খুনের নেপথ্যে?‌ তদন্ত করে দেখছেন পুলিশ কর্তারা। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করার চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। অভিজিৎবাবুর স্ত্রী বহুদিন থাকেন না। যদিও বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি বলেই স্থানীয সূত্রে খবর। এলআইসি’‌র এজেন্টের কাজ করার পাশাপাশি পায়রা বিক্রি করতেন তিনি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)