ছোড়দার কালীপুজোর সবকিছু কি আত্মসাৎ করতে চাইছে কেউ? মুখ খুললেন শিখা
হিন্দুস্তান টাইমস | ৩১ অক্টোবর ২০২৪
আজ কালীপুজো। আর তা নিয়ে মেতে উঠেছেন বাংলার মানুষজন। কিন্তু এই আবহে উৎসবের মরশুমকে সবাই নানাভাবে পালন করবেন। সেখানে কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিটের কালীপুজো বরাবর পরিচিত সোমেন মিত্রের কালীপুজো হিসেবেই। ‘ছোড়দা’ বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি। আর আমহার্স্ট স্ট্রিটের কালীপুজোর মুখ্য সংগঠক ছিলেন তিনিই। নিজে উদ্যোগ নিয়ে সব দেখতেন। ২০২০ সালে সোমেন মিত্র প্রয়াত হন। তারপরও পরবর্তী প্রজন্ম এই কালীপুজোকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এখন এই কালীপুজো ৮৩ বছরে পড়েছে। সেখানে আক্ষেপ শোনা গেল সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্রের গলায়। তিনি স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিলেন, নিজেদের লোকের মধ্যেই কেউ এই কালীপুজোয় ‘সর্বেসর্বা’ হতে চাইছেন।
প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র তৃণমূল কংগ্রেসে এলেও পরে ফিরে যান কংগ্রেসে। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর শিখা মিত্র আবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। কিন্তু ছোড়দার কালীপুজোয় আজও কংগ্রেসের প্রথমসারির নেতারা আসেন। আমহার্স্ট স্ট্রিট সাধারণ শ্রীশ্রী কালীপুজোর নামই হয়ে গিয়েছিল সোমেন মিত্রের কালীপুজো। এই কালীপুজোকে ঘিরে মেলা, খাবারের দোকান–সহ নানা বিষয় দেখতে পাওয়া যায়। এই কালীপুজো নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন সোমেন মিত্র। অনেক বিশিষ্টজন থেকে রাজনৈতিক নেতা–নেত্রী দেখা করতে আসতেন তাঁর সঙ্গে। এখন সেসব অতীত।
তবে এই কালীপুজোকে সামনে রেখে যে যার মতো গুছিয়ে নেওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ শিখার। কিন্তু তাতে বাধা দেওয়ার মতো অবস্থা নেই। কারণ এখন সবটা তিনি দেখতে পারেন না। তবে সোমেন মিত্রের উত্তরসূরি বাদল ভট্টাচার্য, রামচন্দ্র সিং, রাকেশ বণিক, সুমন রায়চৌধুরী–সহ অন্যান্যরা এই কালীপুজোকে একইরকমভাবে চালানোর চেষ্টা করছেন। এই কালীপুজোর কর্মকর্তা সোমেন মিত্রের প্রয়াণের জেরে এই বছর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকছে। এই কালীপুজোর শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। তাই এখানে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল কালীপুজো কমিটির চেয়ারপার্সন তথা সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্র, সোমেন মিত্রের ছেলে রোহন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার ও কয়েকজন।
এখানেই শিখা মিত্রের কাছ থেকে শোনা গেল তাঁর ক্ষোভের কথা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি এখনকার পরিস্থিতি বলেছেন। সোমেন মিত্রের কালীপুজোকে ঘিরে যে এমন বাতাবরণ তৈরি হয়েছে সেটা অনেকেরই অজানা। শিখা মিত্র বলেন, ‘নিজেদের লোকজনই এই পুজো নিয়ে বদমায়েশি করছে। সবকিছু আত্মসাৎ করতে চাইছে। পুরো কালীপুজোর নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে ওই লোকগুলি। এমনকী কালীপুজোর তহবিলের মধ্যে ঢুকতে মরিয়া হয়েছে তারা। কিন্তু আমি বেঁচে থাকতে সেটা হতে দেব না। সোমেন মিত্রের দেখানো পথেই আমহার্স্ট স্ট্রিটের কালীপুজো এগিয়ে যাবে। এখানে ব্যক্তি স্বার্থ বাদ দিয়ে মানবসেবাকেই তুলে ধরতে হবে।’