তপন জানিয়েছেন, তিনি ছোটবেলা থেকেই কাগজ, পিচবোর্ড, আঠা ইত্যাদি দিয়ে নানা রকম জিনিসপত্র তৈরি করতেন। ছোটবেলার সেই নেশাই তপনকে বিগ্রহ তৈরি করতে অনুপ্রাণিত করেছে। এই ধরনের শিল্পকর্মের জন্য বিভিন্ন পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। তপন বলেন, ‘‘কালী ঠাকুর বানাতে আমার মোটামুটি ৬৬ দিন লেগেছে। কোনও কোনও দিন একটানা ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা কাজ করতে হয়েছে।’’ স্কুল সামলে কখন করেন এ সব কাজ? তাঁর কথায়, ‘‘ইচ্ছা আর নেশা থাকলেই উপায় হয়। স্কুলে ক্লাস নেওয়ার ফাঁকে, টিফিনের সময় বসে বসে নকশা এঁকেছি। বাড়িতে রাত জেগে কাজ করেছি।’’
তপনের এই কাজে তাঁকে সহযোগিতা করেন তাঁর ছাত্র-ছাত্রীরাও। কালীর বিগ্রহের জন্য কলাপাতা জোগাড় করে দিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা। বিগ্রহটি রাখা হয়েছে গুসকরার একটি মণ্ডপে।