ঘটনাটি ঠিক কী? গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত তখন জেলে। লোকসভা ভোটের মুখে বীরভূমে বিধানসভাকেন্দ্র ভিত্তিক ৫ সদস্য়ের নয়া কোর কমিটি তৈরি করে দেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটি প্রভাব বেশি অনুব্রত ঘনিষ্ঠদেরই। বস্তুত, কোর কমিটিতে বাদ পড়েছিলেন অনুব্রত বিরোধী হিসেবে পরিচিত কাজল শেখ। পরে অবশ্য তাঁকে কমিটিতে নেওয়া হয়।
এদিকে পুজোর আগেই গোরুপাচার মামলায় জামিন পান অনুব্রত। কিন্তু বীরভূমের ফেরার পর থেকে কোর কমিটির সদস্যদের সঙ্গে তাঁর সংঘাত প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তৃণমূলের শেষ বিজয়ী সম্মিলনীর অনুষ্ঠানের কোর কমিটি পাঁচ সদস্যের সঙ্গে একমঞ্চে দেখা গিয়েছিল অনুব্রতকেও।
প্রতিবারের মতো এবারও কালীপুজো হচ্ছে বোলপুরে তৃণমূলের কার্যালয়ে। এদিন দলীয় কার্যালয়ে দিয়ে প্রতিমা দর্শন করেন অনুব্রত। হঠাত্ কেন কোর কমিটিতে বদল চাইছেন? রাজনৈতিক মহলের মতে, বীরভূমে অনুব্রত ফিরে আসার ফের রাজনীতিতে সক্রিয় তৃণমূলের অনেক নেতা। তাঁদের কোর কমিটি জায়গায় করতে চান কেষ্ট।
এদিকে বীরভূমে এখনও কোর কমিটিতেই আস্থা রেখেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, আগের মতো সাংগঠনিক কাজ পরিচালনা করবেন কোর কমিটি সদস্যরাই। তবে জেলা সভাপতি থাকবেন অনুব্রত।