স্থানীয় সূত্রে খবর, ন্যাজাট থানার অন্তর্গত শিমূলহাটি এলাকার একটি কালীপুজার উদ্বোধন করে ফিরছিলেন সুকুমার। অভিযোগ, সেই সময় তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। উপপ্রধান-সহ তাঁর বেশ কিছু অনুগামী বিধায়কের গাড়ির উপর হামলা চালান বলে অভিযোগ। বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, বিধায়ককে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হন তাঁর চার অনুগামী। এই ঘটনার পর ন্যাজাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিধায়ক।
চলতি বছরের শুরুতে সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনার পরেই প্রকাশ্যে আসে শাহজাহানের নাম। তার কয়েক দিনের মধ্যেই সন্দেশখালিতে শাহজাহান-সহ অন্য তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়েরা। আন্দোলন শুরু হয় সেখানে। তার মধ্যেই রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন শাহাজাহান। পরে তাঁকে তুলে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। বর্তমানে তিনি জেলবন্দি। সুকুমার বরাবর ‘শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ’ বলেই পরিচিত সন্দেশখালিতে। সন্দেশখালিতে যে দিন ইডির উপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল, সেই দিনও সুকুমারের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছিল বলেই দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই বিধায়কের উপর আর এক ‘শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ’ কেন হামলা চালালেন, তা স্পষ্ট নয়। বিধায়কও এর উত্তর দিতে পারেননি।