বস্তিবাসী, দুঃস্থ পরিবারের ছেলেমেয়েদের হাতে প্রদীপ তুলে দিয়ে দীপাবলির সূচনা
বর্তমান | ০১ নভেম্বর ২০২৪
শ্যামল সেন, হলদিয়া: বস্তিবাসী ও দুঃস্থ পরিবারের ছেলেমেয়েদের হাতে প্রদীপ, মোমবাতি ও রংমশাল তুলে দিয়ে হলদিয়ায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দীপাবলি উৎসব সূচনা হল। হলদিয়ার দুর্গাচক ব্যবসায়ীবৃন্দ ও কলোনি বাজার দোকানদার সমিতি ছোটদের হাত দিয়েই এদিন পুজোর উদ্বোধন করেছে। দুর্গাচক ব্যবসায়ী সমিতি প্রতি বছর দুর্গাপুজোর পাশাপাশি বড় আকারে তিনদিনের দীপাবলি উৎসব ও কালীপুজোর আয়োজন করে। ব্যবসায়ী সমিতির পুজোর প্রধান বৈশিষ্ট সর্বধর্ম সমন্বয়। এবছর ৫৪তম বছরে পদার্পণ করেছে বাজার সমিতির দুর্গাপুজো। প্রায় একই সময় থেকেই কালীপুজোও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান সব ধর্মের ব্যবসায়ীরা মিলিত হয়ে দুর্গাপুজো, কালীপুজো ও দীপাবলি উৎসবের আয়োজন করে সম্প্রীতির বার্তা দেন।
শিল্পশহরে থিমের পুজোর ভিড়ে বাজার সমিতির পুরনো দুর্গা ও কালীপুজো তার সাবেকি ঐতিহ্য নিয়ে উজ্জ্বল। হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের পাশে শহরের প্রাণকেন্দ্র দুর্গাচক নিউ মার্কেটের সামনে জাঁকজমক করে কালীপুজো হচ্ছে। বন্দর শহর গড়ে ওঠার সময় সত্তরের দশকের গোড়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মিলিত হয়ে এই পুজো শুরু করেন। হলদিয়া শহরের প্রধান ব্যবসায়িক কেন্দ্র দুর্গাচকের কলোনি বাজার এলাকা। এই এলাকাতেই শহরের আদি এবং নামী ব্র্যান্ডের বিপণী থেকে বাণিজ্যিক অফিস রয়েছে। দোকানদার সমিতি জানিয়েছে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ১৭০০টি দোকান রয়েছে। সম্পাদক বিভাসকুমার দত্ত ও সভাপতি কার্তিকচন্দ্র দাস অধিকারী বলেন, কালীপুজো ও দীপাবলি উৎসবে সাবেকি ধাঁচে বাজার কমিটির পুজো হয়। এবার দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠ ও কালীঘাটের তিন কালী মূর্তির সমন্বয় ঘটেছে মণ্ডপে। শিল্পী নন্দলাল জানা অসাধারণ নিপুণতায় ফুটিয়ে তুলেছেন তিনটি কালীমূর্তি। প্রতিমার চালচিত্র তৈরি হয়েছে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলে। শুক্রবার কয়েক হাজার মানুষকে প্রসাদ বিতরণ করা হবে। কোষাধ্যক্ষ উত্তম দাস অধিকারী ও সেখ সেকেন্দার আলি বলেন, শতাধিক কিশোর কিশোরীর হাতে মোমবাতি তুলে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় কালী কীর্তনের আয়োজন করা হয়েছে। সহ-সভাপতি সত্যশঙ্কর সাহু, সুকুমার সাহু ও উৎপল পড়ুয়া, কার্যকরী সভাপতি শঙ্কর মাইতি বলেন, কালীপুজোয় প্রতিমা নিরঞ্জন খুবই আকর্ষণীয় হয়। কালীপুজোর পরই বাজার কমিটির বিজয়া সম্মিলনী হবে।