সংবাদদাতা, কালনা: পূর্বস্থলী-১ ব্লকের বাঁশদহ বিলের পাড়ে বড় কোবলা এলাকায় চুনো-বিলে কালীপুজোয় মেতেছে হাজার হাজার মানুষ। পুজোর উদ্বোধন করেন এলাকার মৎস্যজীবী পরিবারের গৃহবধূ যশোদা মণ্ডল, প্রতিমা হালদার, বন্দনা হালদাররা। উপস্থিত ছিলেন পুজোর প্রধান পৃষ্ঠপোষক মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ সহ বিশিষ্টরা। পুজোর প্রসাদ গ্রহণে হাজার হাজার মানুষ হাজির ছিলেন। বাহারি আলো ও মাছ ধরার সরঞ্জাম দিয়ে সেজে উঠে মন্দির। এদিন মায়ের ভোগে ছিল চুনো মাছের নানা পদ থেকে কাঁকড়ার ঝাল। মায়ের মন্দিরে পুজো দিতে আশপাশের আট-দশটি গ্রামের বহু মানুষ হাজির হয়।
এদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি পুজো উপলক্ষ্যে ‘গঙ্গাপুত্র ভীষ্ম’ যাত্রাপালা মঞ্চস্থ হয়। যাত্রাপালায় শিবের চরিত্রে অভিনয় করেন মন্ত্রী স্বপনবাবু। তিনি বলেন, খালবিল ও চুনো মাছ বাঁচাতে কালীপুজো শুরু হয়। এলাকার মৎস্যজীবীরাই মায়ের নাম দেন চুনো-বিলে কালী। এখন মায়ের আশীর্বাদে ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় বিল সংস্কার হয়েছে। বাড়ছে চুনো মাছের জোগান। উপকৃত হচ্ছেন মৎস্যবীরা। বিলের জলে সেচের প্রয়োজনে চাষিরা জলের জোগান পাচ্ছেন। এই পুজোয় মৎস্যজীবী ছাড়াও আশপাশের গ্রামগুলির হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন।
কালনা শহরের ৩০০বছরের প্রাচীন সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরে বিকেল থেকে ভক্তদের ভিড় দেখা যায়। এছাড়াও কালনা শহরের কমলাকান্তের কালী মন্দির, সাধক ভবাপাগলার ভবানী মন্দির, বড় মা কালী, মেজো কালী, আনন্দময়ী কালী, সাধনা কালী প্রভৃতি মন্দিরে ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। মন্তেশ্বরের জয়রামপুরের বড় কালী, খরমপুরের কালী, মাঝেরগ্রামের বড়মা কালীপুজোতেও ভিড় হয়।