নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: রণচণ্ডী হোক বা দয়াময়ী মাতৃরূপ। লাল জবা ছাড়া মা কালীর আরাধনা কার্যত অসম্পূর্ণ। সেই জবার দাম বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যেন আকাশছোঁয়া। রায়গঞ্জের বাজারগুলিতে এদিন ১০৮টি জবাফুলের মালা বিক্রি হয়েছে তিনশো থেকে সাড়ে তিনশো টাকায়। প্রতি পিস জবার দাম ছিল চার টাকা। ফলে বাজারে গিয়ে ক্রেতাদের চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয়েছিল।
কালীপুজো উপলক্ষ্যে এদিন সকাল থেকেই রায়গঞ্জের মোহনবাটি, দেবীনগর, কলেজপাড়া, বন্দর, স্টেশন বাজার চত্বরে ফুল, ফল ও মিষ্টির দোকানে ভিড় ছিল নজরকাড়া। মোহনবাটি বাজারের ফুল বিক্রেতাদের মধ্যে পবন মণ্ডলের কথায়, চাহিদার তুলনায় লাল জবার যোগান অত্যন্ত কম। তাই সাধারণ দিনে ১০৮ পিস জবা দিয়ে তৈরি যে মালা বিক্রি করেছি ৮০ থেকে ১৫০ টাকায়। সেগুলির এদিন তিনশো থেকে সাড়ে তিনশো টাকা দাম ছিল। পাইকারি বাজার থেকে ২৫০ টাকায় ১০০ পিস জবা কিনতে হয়েছে আমাদের। কালীপুজো মিটলেই আবার দাম নামবে।
এদিন দাম চড়া ছিল অন্যান্য ফুলেরও। ফুল বিক্রেতা দিলীপ সরকার, পপি সরকারের কথায়, ১০০ টাকা কেজি দরে গাঁদা ফুল বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য দিন অনেকটাই কম থাকে। পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে ফুল কিনেছি। শুধু রায়গঞ্জের ফুলে হয়নি। কলকাতা থেকেও জবা, গাঁদা সহ অন্যান্য ফুল আনতে হয়েছে। পাশাপাশি পদ্ম ফুল প্রতি পিসের দাম ছিল ১৫ টাকা।
দাম শুনে ভ্রু কুঁচকে গেলেও শেষ পর্যন্ত বেশি টাকাতেই ফুল কিনতে হয়েছে মিলনপাড়ার বাসিন্দা মিঠু মজুমদারকে। তিনি জবা ফুলের মালা কেনেন ৩০০ টাকায়। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শ্যামল সেনগুপ্ত বলেন, ফুলের দাম আকাশছোঁয়া। বাড়ির জন্য ৫০ টাকার জবা ফুল কিনেছি। তাতে ৮ থেকে ১০ পিস ফুল রয়েছে। অন্যান্য ফুলের দামও বেশি।