• কাল থেকে নতুন মরশুমের ধান কেনা শুরু, উদ্যোগী খাদ্যদপ্তর 
    বর্তমান | ০১ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী কাল, শনিবার থেকে নতুন ২০২৫-২৬ খরিফ মরশুমে চাষিদের কাছ থেকে সরকারি উদ্যোগে ধান কেনার কাজ শুরু হবে। সব জেলাতেই কেন্দ্রীয় ক্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। স্থায়ী ক্রয়কেন্দ্র ছাড়াও  বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি পাঠিয়ে ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমেও ধান কিনবে খাদ্যদপ্তর। এর পাশাপাশি  গ্রামীণ কৃষি সমবায় সংস্থা ও  স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মাধ্যমে অস্থায়ী শিবির খুলে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা হয়। চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনার পর তা সরাসরি নথিভুক্ত রাইস মিলগুলিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় চাল উৎপাদনের জন্য। এবার রাইস মিলগুলিকে নিয়ে কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তবে কয়েকদিন আগে খাদ্যদপ্তরে বৈঠকের মাধ্যমে অচলাবস্থা কাটে। সরকারের কেনা ধান থেকে চাল উৎপাদনের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে রাজি হয় রাইস মিল মালিকদের সংগঠন। নাম নথিভুক্ত করার সময়সীমা বাড়িয়ে দেয় খাদ্যদপ্তর। 

    একই শর্তে নাম নথিভুক্ত করার জন্য ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সময়ের মধ্যে মোট ৪৭২টি রাইস মিল নথিভুক্ত করা হয়েছে। সদ্যসমাপ্ত খরিফ মরশুমের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় ১০০ কম। রাইস মিল মালিক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালেক জানান, ৬ অক্টোবর পর্যন্ত নথিভুক্তকরণের সময় আছে। আরও একশো রাইস মিল নাম লেখাবে বলে তাঁরা আশা করছেন। ওইসময় পর্যন্ত একই পরিমাণ ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি দিয়ে নাম নথিভুক্ত করা যাবে। তবে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে নাম লেখালে যে পরিমাণ ধান পাওয়া যেত তার থেকে কিছুটা কম পাবে রাইস মিলগুলি। ৬ অক্টোবরের পর ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি বেশি দিতে হবে। 

    নতুন খরিফ মরশুমে চাষিদের কাছ থেকে ৭০ লক্ষ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে খাদ্যদপ্তর। নভেম্বর মাস থেকে ধান কেনা শুরু করলেও কেনার কাজে গতি আসে ডিসেম্বর থেকে। কারণ নতুন ধান তখন বেশি পরিমাণে উঠতে শুরু করে। নভেম্বর মাসে নতুন ধান খুব কম পরিমাণে ওঠে।  ধান কেনার  বেশিরভাগটাই হয় ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে। প্রকৃত চাষির কাছ থেকে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ধান কেনার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা এবারও থাকছে। নাম নথিভুক্ত করা ও  ধান বিক্রির সময় চাষির আধার বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যাচাই করা হবে। নথিভুক্ত চাষিদের অনলাইনে আগাম বুকিং করে ধান বেচতে আসতে হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)