• অগ্নিমূল্য ফল-ফুল ও সব্জি, কম পরিমাণ দিয়েই কালীপুজো গৃহস্থ, বারোয়ারি উদ্যোক্তাদের
    বর্তমান | ০১ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কালীপুজোকে ঘিরে শহরে বিভিন্ন বাজারে ফল‑ফুল‑সব্জির দাম রীতিমতো আগুন। দামের ঝাঁঝে কাহিল গৃহস্থ থেকে বারোয়ারি পুজো উদ্যোক্তারা। ফলে বেশিরভাগ লোকই বৃহস্পতিবার এসব কিনেছনে নমো নমো করে। ব্যবসায়ীদের একাংশের বক্তব্য, সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রতিটি জিনিসের আগুন দাম। তাই চড়াদামে জিনিস কিনেছেন তাঁরাই। এদিন চুনিবাবুর বাজার, শ্যামবাজার, বাগবাজার, শোভাবাজার, মানিকতলা প্রভৃতি বাজারে কালীপুজোর নানা সামগ্রীর দাম ছিল অন্যদিনের তুলনায় অনেকটাই বেশি। বিভিন্ন বাজারে প্রতি পিস  বাতাবি লেবুর দাম ছিল ৪০‑৫০ টাকা। গোটা আখ ৮০‑১০০ টাকা। ৬০‑৭০ টাকা গিয়েছে শশার কেজি। পেয়ারা ও পানিফল বিক্রি হয়েছে যথাক্রমে ৮০ ও ৬০ টাকা। ১২০‑১৪০ টাকার মধ্যে ছিল আপেল ও বেদানা। আঙুরের কেজি ২০০ টাকা। ১৬ টাকা কাঁঠালিকলার জোড়া। ৫০ টাকা নারকেল। 

    ফুলের দামও ছিল বেশ চড়া। আট‑দশটি জবার কুঁড়ির মালা ২০‑২৫ টাকা। প্রতি পিস পদ্ম বিক্রি হয় ৩৫‑৪০ টাকায়। বড় রজনীগন্ধার মালা অন্তত ২০০‑২৫০ টাকা। গাঁদা ও রজনীগন্ধার মালার দাম ১০‑১৫ টাকা। বড় গাঁদার মালার দাম গিয়েছে ৩৫‑৪০ টাকা। কুচোফুলও ২০‑২৫ টাকার নীচে মেলেনি। বেলপাতার বান্ডিল বিক্রি হয়েছে ৫০‑৬০ টাকায়।          

    সব্জির দাম ছিল ছ্যাঁকা লাগার মতোই। প্রতিটি ফুলকপির দাম ৪০‑৫০ টাকা। বেগুন ১০০‑১২০ টাকা কেজি। পটোল ৫০‑৬০ টাকা। কুমড়ো ৩০ টাকা কেজি। টোম্যাটো ৮০‑১০০ টাকা। ঝিঙে ৫০‑৬০ টাকা। ঢ্যাঁড়শ ৫০‑৬০ টাকা। ৮‑১০ টাকা ছিল কাঁচকলার পিস। বাঁধাকপি ৫০‑৬০ টাকা কেজি। 

    শ্যামবাজারে ক্রেতা শ্যামল দাস বলেন, ‘এবার আমাদের বাড়ির পুজো ২৭ বছরে পড়ল। প্রতিটি জিনিসের দাম বেশি থাকায় পাঁচরকম ফল এবং খিচুড়ি ভোগের জন্য অল্পস্বল্প সব্জি কিনে বাড়ি ফিরছি।’ 

    শোভাবাজার স্ট্রিটের বাসিন্দা গৃহবধূ সঞ্জনা দাশগুপ্ত বলেন, ‘প্রতিবছরই পাড়ায় ফল‑ফুল‑শাড়ি দিয়ে মাকে পুজো দিই। কিন্তু এবার দামের কারণে সবকিছুই অল্প করে কিনেছি। জবার মালার বদলে তিনটি জবার কুঁড়ি এবং একটি গাঁদার মালা নিবেদন করব মাকে।’
  • Link to this news (বর্তমান)