এক সাধুর অলৌকিক প্রভাব আছে বজবজ থানা ঘাটের কালীপুজোয়, বিশ্বাস ভক্তদের
বর্তমান | ০১ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, বজবজ: একেবারে গঙ্গার কোল ঘেঁষে বজবজ থানা ঘাটে পঞ্চাশ বছর আগে থেকে একটি বেদি তৈরি হয়েছিল। বহু বছর আগে এখানে এক জটাজুটধারী সাধু এসে সেই বেদি তৈরি করে সাধনভজন করতেন। গঙ্গার দিকে মুখ করে চোখ বুঁজে ধ্যান করতেন। তিনি এখানে একটি অশ্বত্থগাছও লাগিয়েছিলেন। সেই গাছ এখন বেশ হৃষ্টপুষ্ট হয়ে বেদির উপর ছায়া দিচ্ছে।
স্থানীয় লোকজনের মুখ থেকে জানা গিয়েছে, পরবর্তী সময়ে সাধুকে আরও দেখা যায়নি। কিন্তু বেদিটি ছিল। লোকজন এসে তাতে ফুলও দিত। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, থানার বাইরে একটি চায়ের দোকানের কাছে ২৫ বছর আগে থেকে একটি কালীপুজো হতো। থানার আবাসনের পুলিস কর্মীদের পরিবারের সদস্যরাও সেই পুজোতে শামিল হতেন। ২০১৪ সাল থেকে সেই কালীপুজোটি এই বেদিতে করা শুরু হয়। এইভাবেই শুরু হয়েছিল বজবজ থানা ঘাটের পুজো। নানাজনের সহযোগিতায় গত বছর এখানে ঝকঝকে সুন্দর মন্দির তৈরি হয়েছে। ওই বছর পর্যন্ত মাটির প্রতিমা তৈরি করে পুজো হয়েছে। পরে নিরঞ্জন হয়েছে। কিন্তু এবার পাথরের তৈরি মা কালীর প্রতিষ্ঠা হল বেদিতে। উদ্যোক্তারা জানালেন, ওই সাধুর জন্য এই বেদির একটি অলৌকিক প্রভাব আছে। সেজন্যই মা এখানে বরাবরের জন্য স্থায়ী অস্তানা করে নিলেন। এমনটাই বিশ্বাস ভক্তদের। পাশেই থানার আবাসন। এখানে পুজোর আয়োজন হওয়াতে পুলিসকর্মীরাও খুশি। কারণ, তাদের পরিবারের সদস্যরাও ঘরের কাছে পুজোয় অংশ নিতে পারবেন।
অন্যদিকে, প্রতি বছরের মতো এবারও বজবজ চৌরাস্তার কাছে শিশির গাঙ্গুলি ভবনে শ্যামাপুজোর আয়োজন হয়েছে। উদ্যোক্তা কংগ্রেস অনুরাগী সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক চন্দন চক্রবর্তী বলেন, নিয়ম ও নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো হয় এখানে। বজবজ ৬ নম্বর গেটের কাছে বড় পুজো হল বালকবৃন্দ ক্লাবের। যদিও গতবারের মতো এবারও কোনও থিম নেই। সভাপতি বলাই মান্না বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এবার সাধারণ মণ্ডপ করা হয়েছে। তবে প্রতিমা বড় হচ্ছে। দশ ফুট প্রায়। এছাড়া মহাত্মা গান্ধী রোডের যুবক সঙ্ঘের পুজো হচ্ছে জাঁকজমক করে।