এ দিন সকাল ১০টা ৫১ মিনিট নাগাদ গুড়াপ স্টেশন অতিক্রম করে বোলপুরগামী শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস। যাত্রীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঝাঁকুনি দিয়ে ট্রেনটি থেমে যায়। ওই ট্রেনের চালক লাইনে কয়েক’শ মিটার দূরত্বে মালগাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তড়িঘড়ি ব্রেক কষে ট্রেন থামান বলে রেল সূত্রের খবর। পরে জানা যায়, সামনের দিকে ঝাপানডাঙা স্টেশনে ঢোকার মুখে কন্টেনারবাহী একটি মালগাড়ির ইঞ্জিন বিকল হয়ে গিয়েছে। শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস ওই মালগাড়ির পিছনে বেশ কিছুটা দূরত্ব রেখে দাঁড়িয়ে পড়ে। মালগাড়ির ইঞ্জিন আকস্মিক ভাবে বিকল হওয়ার ফলেই তা থমকে যায় বলে খবর। প্রায় দু’ঘণ্টা ট্রেনটি দাঁড়িয়ে থাকার পরে বিকল্প ইঞ্জিন লাগিয়ে দুপুর ১টা নাগাদ মালগাড়িটি রওনা হয়। তার পরে শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস রওনা হয়। ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের প্রায় দু’ঘণ্টা পরে শান্তিনিকেতনে পৌঁছয়।
আকস্মিক ভাবে ছুটন্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের সামনে মালগাড়ি এসে পড়ার ঘটনায় যাত্রীদের অনেকের মধ্যেই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার স্মৃতি ফিরে আসে। রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা চললে এক লাইনে কিছুটা দূরে দু’টি ট্রেন থাকা অস্বাভাবিক নয়।
কিন্তু অনেকেরই প্রশ্ন, সামনে মালগাড়ি থমকে আছে তা দেখা সত্ত্বেও গুড়াপ স্টেশন পার হওয়ার পরেই কেন যাত্রীবাহী শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেসকে অন্য লাইনে সরানো হল না। যদিও রেলের তরফে এর কোনও সদুত্তর মেলেনি।